চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব যেভাবে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করেছিলেন, তা দেখেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন যুজবেন্দ্র চহাল। চেন্নাইয়ে রবিবার রাতে চহাল ও কুলদীপের ‘রিস্ট স্পিন’ জুটিই (যে সমস্ত স্পিনাররা কব্জি ব্যবহার করে বল করেন, তাঁদের রিস্ট স্পিনার বলা হয়) ধ্বংস করে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। চহাল তিনটি এবং কুলদীপ দু’টি উইকেট নেন। ‘‘কুলদীপকে বল করতে দেখেই বুঝে যাই, পিচে টার্ন আছে। তার পর আমি ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলি। কোহালি আমাকে বলে, উপরে বল করো আর টার্ন করানোর চেষ্টা করো,’’ বলেন চহাল।
ওয়ার্নারকে দারুণ কৌশলে আউট করেন কুলদীপ। বলটা ছিল স্লাইডার। কাট মারতে গিয়ে উইকেটকিপার ধোনির হাতে ধরা পড়েন ওয়ার্নার। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের ২৮১-৭ স্কোরের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ২১ ওভারে ১৬৪। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৩৭-৯ তুলতে পারে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতি থেকে অবদান রাখলেন ভারতের তরুণ ক্রিকেটারেরা। ব্যাট হাতে হার্দিক পাণ্ড্য, বল হাতে কুলদীপ ও চহাল। আইপিএলে কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়েই খেলেন চহাল। তরুণ লেগস্পিনার চেন্নাইয়ে নাটকীয় জয়ের পরে বলছিলেন, ‘‘এই ধরনের পিচে খাটো লেংথের বল করা যায় না। তবে পিচে আমাদের জন্য সাহায্য ছিল। তাই শুরুতেই যখন বল করতে আসি, আত্মবিশ্বাস ছিল ভাল করব।’’
চেন্নাইয়ে ব্যাট ও বল দু’টোতেই কামাল করার জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ হার্দিক পাণ্ড্য এ দিন কলকাতাতেও এলেন যথেষ্ট সাড়া জাগিয়ে। তাঁকে নিয়ে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল বিমানবন্দরে। হার্দিক নিজে যদিও মনে করেন, গত ১৮ মাসে কিছুই পাল্টায়নি। ‘‘আমার মনে হয় অনেক ঠান্ডা হয়েছি, এটাই একমাত্র পরিবর্তন,’’ বলছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকা। এ বার ইডেন তাঁর ছক্কা দেখার অপেক্ষায়।