এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, প্রজ্ঞান ওঝাকে আনার বিষয়ে না কি সৌরভ কোনও শীর্ষকর্তার সঙ্গে আলোচনাও করেননি। এর ফলেও অনেকের মনে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে বলে সিএবি সূত্রের খবর। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে যেমন এ দিন বলেই দিলেন, ‘‘প্রজ্ঞান ওঝা যে বাংলার হয়ে খেলতে আসছে, সেই খবর এখনও আমি সরকারি ভাবে পাইনি। কাগজ পড়ে, টিভি দেখেই জেনেছি। সুতরাং খবরটাই আমার কাছে পাকা নেই।’’ অথচ বুধবারই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। ভিন রাজ্য থেকে ক্রিকেটার আনার ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাইলে বলব, আমি বরাবরই বাংলার ছেলেদের দিয়ে খেলানোর পক্ষে।’’ মহম্মদ শামির খেলতে আসা নিয়েও অবশ্য তিনি অতীতে এমনই মন্তব্য করেছিলেন।
যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, ‘‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বড় মাপের ক্রিকেটার। সে যদি ভাল বুঝে থাকে নিশ্চয়ই এতে ভাল হবে। তবে আমার মনে আছে এই সিএবি-তেই ভিনরাজ্য থেকে আসা ক্রিকেটারদের খেলার উপর আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে হয়তো বাংলা দলে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার প্রয়োজন।’’ কিন্তু আগে যে রকম নিয়ম ছিল যে স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেটে একটা নির্দিষ্ট সময় খেলে, তার পরই বাংলা দলের হয়ে মাঠে নামা যাবে, প্রজ্ঞানের ক্ষেত্রে সেই নিয়মও প্রযোজ্য হচ্ছে না। আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্র নিয়েই তিনি বাংলা দলে খেলার ছাড়পত্র পাচ্ছেন বলে খবর। অন্যদিকে, বাংলার হয়ে খেলার জন্য ভারতীয় দলের হয়ে খেলা এই বাঁ হাতি স্পিনারের সঙ্গে কোনও বাড়তি অর্থের চুক্তি সিএবি করছে না বলে জানালেন কোষাধ্যক্ষ। বাংলা দলের অন্যরা বোর্ড থেকে যে ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন, সেটাই নাকি তিনি পাবেন।
প্রজ্ঞানকে রেখেই এ দিন ৩২ জনের সম্ভাব্য দল তৈরি করে ফেললেন বাংলার নির্বাচকরা। এই দলের প্রত্যাশা মতোই অরিন্দম দাস, শিবশঙ্কর পাল, ইরেশ সাক্সেনাদের রাখা হয়নি। দলের বেশ কয়েকজন জুনিয়রকেও রাখা হয়েছে। এ দিন দল বাছাই বৈঠকের আগে মনোজ তিওয়ারি সৌরভের সঙ্গে সিএবি-তে দেখা করে যান। তবে বাংলা দলের নেতৃত্বের ভার নেওয়া নিয়ে তাঁকে কিছু বলেননি বলে জানান মনোজ।