শিকারি: চার উইকেট নিয়ে সফল নেথান লায়ন। পিটিআই
শেষ দু’ঘণ্টায় তাঁর শিকার চার ভারতীয় ব্যাটসম্যান। যে স্পেল অস্ট্রেলিয়াকে আবার ভীষণ ভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে। প্রথম দিকে সে রকম প্রভাব ফেলতে না পারলেও শেষ দু’ঘণ্টায় কী ভাবে এত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন? নেথান লায়ন বলছেন, নিজের বোলিং স্ট্র্যাটেজির পরিবর্তন করেই সাফল্য।
সাংবাদিক বৈঠকে এসে অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার বলে যান, ‘‘আমি লাঞ্চের সময় নিজের বোলিং নিয়ে ভাবতে বসি। দেখলাম এত দিন যে ভাবে ভারতে বল করছি, তাতে চলছে না। তখন দু’টো স্ট্র্যাটেজি নিই। ঠিক করি, অজিঙ্ক রাহানেকে সুইপ করতে দেব না। আর অস্ট্রেলিয়ায় যে ভাবে বল করতাম, সে ভাবে করব।’’
সেই মতো ওভার দ্য উইকেট আক্রমণে চলে আসেন লায়ন। বলের গতি বাড়িয়ে দেন, চেষ্টা করেন উইকেট থেকে বাউন্সটা আদায় করার। ‘‘আমি দেখলাম, ধর্মশালার এই উইকেটটা অনেকটা দেশের উইকেটের মতো। এখানে বাউন্সটা পাওয়া যাবে। সেই মতো স্ট্র্যাটেজি বদলে ফেললাম।’’
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য, বিশেষ করে রাহানের জন্য, লায়নের স্ট্র্যাটেজি খেটে গিয়েছে। লায়ন বলছিলেন, ‘‘আমি দেখলাম, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে রাহানে, আমাকে খুব সুইপ মারছে। তখন ওভার দ্য উইকেটে বল করতে শুরু করি। ওর সুইপটা আটকে দিই। বেশি করে আমার স্টক বলটা করতে শুরু করলাম। স্টিভ স্মিথের সঙ্গে চা বিরতিতে একবার আলোচনাও করে নিই। শেষ পর্যন্ত যে স্ট্র্যাটেজিটা খেটে গেল, তাতেই আমি খুশি।’’
তবে লায়ন নন, দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার কে এল রাহুল মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারা যা বল করেছেন, সে রকম আগুনে বোলিং তিনি আগে খেলেননি। রাহুল বলছেন, ‘‘রবিবার সকালে জস হেজেলউড আর প্যাট কামিন্স যে স্পেলটা করল, সে রকম আগুনে ফাস্ট বোলিং আমি আগে কখনও খেলিনি। ওরা দু’জনে প্রচণ্ড গতিতে ঠিক জায়গায় বলটা ফেলছিল আর মুভ করাচ্ছিল।’’
নিজে যে ভাবে পুল মারতে গিয়ে আউট হলেন, মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ‘‘খুব জঘন্য একটা শট খেলেছি, সন্দেহ নেই। তবে অতটা সময় উইকেটে থাকার পরে আমি ভেবেছিলাম, কামিন্সকে সামলে দিতে পারব। আমার মনোভাবটা ঠিকই ছিল, কিন্তু শটের প্রয়োগটা ঠিক হয়নি,’’ সাংবাদিকদের বলেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy