Advertisement
E-Paper

লর্ডসে ‘হোম ড্রেসিংরুম’ কিন্তু পয়া নয়

চোট সারিয়ে জেসন রয় দলে ফিরে আসার পরেই দল হিসেবে ইংল্যান্ডকে অন্য রকম লাগছে। ব্যাটিং গভীরতাও বেড়েছে অইন মর্গ্যানের দলের। বিপক্ষের চেয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শক্তি অনেক জোরদার। ব্যাটিং শক্তিতে এগিয়ে রয়েছে ওরা।

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০৬:৩৩

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে যে বিরাট কোহালির দল খেলবে না তা ভারতীয় সমর্থকেরা ভাবতেই পারেননি। একই সঙ্গে আমাদের মেনে নিতে হবে প্রতিযোগিতায় যখন দরকার ছিল, তখনই জ্বলে উঠেছে ইংল্যান্ড ও নিউজ়িল্যান্ড। রবিবারের ফাইনাল ম্যাচে ঘরের মাঠে ফেভারিট ইংল্যান্ড। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ড ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে তাদের হাল্কা ভাবে নিলে ফল কী হতে পারে।

চোট সারিয়ে জেসন রয় দলে ফিরে আসার পরেই দল হিসেবে ইংল্যান্ডকে অন্য রকম লাগছে। ব্যাটিং গভীরতাও বেড়েছে অইন মর্গ্যানের দলের। বিপক্ষের চেয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শক্তি অনেক জোরদার। ব্যাটিং শক্তিতে এগিয়ে রয়েছে ওরা। কারণ, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর ছাড়া নিউজ়িল্যান্ড দলের ব্যাটিংয়ে সেই ভরসা দেওয়ার লোক নেই। এই পরিস্থিতি থেকে ব্যাট হাতে ঝলসে উঠে নিউজ়িল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতাতে হলে মার্টিন গাপ্টিল-সহ নিউজ়িল্যান্ডের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে।

বিশ্বকাপের শুরুতে মনে করা হচ্ছিল, বড় রান করলেই সাফল্য পাবে দলগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। পেসাররাও এ বারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তাই এ বারের বিশ্বকাপ কেবল চার-ছক্কার প্রতিযোগিতা হয়ে যায়নি। বা বড় রান প্রতিপক্ষের উপরে চাপিয়ে দিয়ে ম্যাচ বার করে নিয়ে যাওয়ার ফর্মুলা কাজ করেনি।

নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে বল হাতে যে কোনও প্রতিপক্ষকে চূর্ণ করার ক্ষমতা রয়েছে ট্রেন্ট বোল্ট ও লকি ফার্গুসনের। যে লেংথে ওরা বল করে চলেছে তাতে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ভারতকে এই জায়গাতেই ঘায়েল করেছে ওরা। সেখানে ভারতীয় বোলাররা করে গিয়েছে খাটো লেংথের বল।

ফাইনাল ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের কিছু হারানোর নেই। ফলে ওদের কাছে চাপটা তুলনামূলক ভাবে কম। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আমাদের অবস্থা ঠিক এটাই ছিল। কারণ প্রত্যাশা পূরণের চাপটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপরে। আমরা সে দিন ফাইনাল খেলতে নেমেছিলাম খোলা মনে। শেষে পর্যন্ত চাপটা ধাক্কা মেরেছি ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই।

ইংল্যান্ড দলে এই মুহূর্তে সব জায়গাতেই ভারসাম্য রয়েছে। তাই ইংল্যান্ডকে হারাতে গেলে নিউজ়িল্যান্ডকে বিশেষ প্রচেষ্টা মাঠে দেখাতে হবে। আর সেটা কোনও বিশেষ খেলোয়াড় নয়। দল হিসেবেই কাপ জিততে গেলে বিশেষ পারফরম্যান্স করতে হবে নিউজ়িল্যান্ডকে। আমার মতে টস জেতাটা এ-ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে দল শুরুতে ব্যাট করবে, তারা অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে।

হয়তো বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে পারে রবিবার। তবে মাথায় রাখতে হবে লর্ডসে ‘হোম ড্রেসিংরুম’ যে দল ব্যবহার করে, সেই দল কখনও বিশ্বকাপ জেতেনি। তাই ইংল্যান্ড কাপ জিতলে কিন্তু সেটাও একটা নজির বলে গণ্য হবে।

Cricket England New Zealand Lords ICC World Cup 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy