এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সাফল্যের জন্য ইংল্যান্ড অনেকটাই নির্ভর করে আছে তাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জো রুটের উপরে। আর রুট নিজে মনে করেন, তাঁরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাই ১৯৯২ সালের পরে প্রথম বিশ্বকাপে (ওয়ান ডে-র) সেমিফাইনালে খেলে শেষ হাসি হাসতেও পারেন। রুটের মনে হচ্ছে, ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাটা এ ক্ষেত্রে তাঁদের দারুণ কাজে আসবে।
ইংল্যান্ডের এক প্রচারমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুট বলেছেন, ‘‘বহু দিন পরে আমরা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সেমিফাইনালে খেলব। নিঃসন্দেহে এটা একটা বিরাট ব্যাপার আমাদের কাছে। এ রকম সুযোগ বারবার আসে না। তা ছাড়া এই দলের অনেকেই ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল। সেই ফাইনালের অভিজ্ঞতাটাও আমাদের এজবাস্টনে দারুণ কাজে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
২০১৬-র সেই ফাইনালের দশ জন ক্রিকেটার এ বারের ইংল্যান্ড দলেও আছেন। এমনিতে ইংল্যান্ড ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। ২০০৪ এবং ২০১৩— দু’বার ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু শেষ ২৭ বছরে বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি। অতীতে দু’বার তারা সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে পরাজিত হয়। এই দুই দেশ ন’বারের মধ্যে সাত বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন।