ভারতীয় দাবায় ইতিহাস গড়েছেন দিব্যা দেশমুখ। প্রথম ভারতীয় হিসাবে মহিলাদের বিশ্বকাপ দাবার ফাইনালে উঠেছেন। প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চিনের তাং ঝাংজিকে হারিয়েছেন সেমিফাইনালে। ইতিহাস গড়ার পরও যেন বিশ্বাস করতে পারেননি দিব্যা। সামলাতে পারেননি আবেগ। আনন্দে কেঁদে ফেলেন ১৯ বছরের দাবাড়ু। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর ফাইনাল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দিব্যা।
ফাইনালের আগে দিন দুয়েক সময় আছে। তাই এখনই ফাইনালের ভাবনা শুরু করতে চান না। দিব্যা বলেছেন, ‘‘গত কয়েক দিন খুব চাপে ছিলাম। ভীষণ উৎকণ্ঠায় কেটেছে। ঠিক মতো ঘুমও হয়নি। আপাতত ভাল করে ঘুমোতে চাই। আমার একটু ভাল ঘুম প্রয়োজন। আর হ্যাঁ, ভাল করে খেতেও চাই।’’
ফাইনালের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। কনেরু হাম্পি এবং শীর্ষ বাছাই চিনের লি তিংজির সেমিফাইনাল টাইব্রেকারে পৌঁছেছে। জয়ের পর দিব্যাকে প্রশ্ন করা হয়, ফাইনালে উঠে কেমন লাগছে? ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার অবশ্য ইতিহাস গড়েও খুশি নন। তিনি বলেছেন, ‘‘জানি না কী বলব! আমার মনে হচ্ছে, আরও ভাল খেলতে পারতাম। একটা সময় মনে হচ্ছিল, জিতে যাব। কিন্তু মাঝে ভাল খেলতে পারিনি। একটু গোলমাল করে ফেলেছিলাম। আমার আরও সহজে জেতা উচিত ছিল। একটা সময় ঝাংজি বেশ ভাল খেলতে শুরু করে। তখন মনে হচ্ছিল ড্র হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত ভাগ্য আমাকে সঙ্গ দিয়েছে।’’ দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তাতে উচ্ছ্বসিত দিব্যা। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এ ছাড়া তেমন আর কিছু বলার নেই আমার।’’
আরও পড়ুন:
ফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যশালী ক্যান্ডিডেট প্রতিযোগিতায় খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন দিব্যা। আর একটি সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার পর ফাইনাল নিয়ে ভাবতে চান মহিলাদের আন্তর্জাতিক মাস্টার। প্রতিপক্ষ কে, তা জানার পর সেই মতো প্রস্তুতি নেবেন দিব্যা।