কলকাতায় সাফল্যের পরে কানপুরেও সেটাকে এগিয়ে নিয়ে গেল ইংল্যান্ড। যদিও ফর্ম্যাট আলাদা। আর দুটো উইকেটই যে খুব একটা ‘ভারতীয়’ ছিল না, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি যদিও ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করব না। ইংল্যান্ড ভাল বল করেছে। কিন্তু ভারতীয়দের অযোগ্য বলতে গেলে সেটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
গ্রিন পার্কে যেখানে দু’একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল, ভারত তখন হুড়মুড় করে খেলে গেল। মনে হচ্ছিল ওরা নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য মাথায় রেখে ব্যাট করছিল। যে ভাবে এগনো ভুল। জমাট ভিত না গড়ে খুব উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করা— সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অন্যতম মৌলিক অপরাধ।
তবু ইংল্যান্ডের কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়া ঠিক নয়। ওদের পাঁচ বোলারের বেশি লাগেনি। আদিল রশিদ বল করেনি। এ থেকে বোঝা যায়, ভারতকে ওরা কতটা বুঝে ফেলেছে। অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে ওরা গতির ভাল হেরফের করেছে। যারা বাউন্সারের বিরুদ্ধে নড়বড়ে, তাদের বাউন্সার দিয়েছে। ধোনিকে ক্রিজে নড়াচড়া করার খুব একটা জায়গা দেয়নি ইংল্যান্ড। পরের দুটো ম্যাচেও এ রকম বোলিংই পাবে ভারত। দেখা যাক তার জবাব ওরা কী ভাবে দেয়।