নাগপুর পৌঁছলেন কোহালি, ধোনি।-টুইটার
কলকাতায় সাফল্যের পরে কানপুরেও সেটাকে এগিয়ে নিয়ে গেল ইংল্যান্ড। যদিও ফর্ম্যাট আলাদা। আর দুটো উইকেটই যে খুব একটা ‘ভারতীয়’ ছিল না, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি যদিও ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করব না। ইংল্যান্ড ভাল বল করেছে। কিন্তু ভারতীয়দের অযোগ্য বলতে গেলে সেটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
গ্রিন পার্কে যেখানে দু’একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল, ভারত তখন হুড়মুড় করে খেলে গেল। মনে হচ্ছিল ওরা নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য মাথায় রেখে ব্যাট করছিল। যে ভাবে এগনো ভুল। জমাট ভিত না গড়ে খুব উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করা— সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অন্যতম মৌলিক অপরাধ।
তবু ইংল্যান্ডের কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়া ঠিক নয়। ওদের পাঁচ বোলারের বেশি লাগেনি। আদিল রশিদ বল করেনি। এ থেকে বোঝা যায়, ভারতকে ওরা কতটা বুঝে ফেলেছে। অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে ওরা গতির ভাল হেরফের করেছে। যারা বাউন্সারের বিরুদ্ধে নড়বড়ে, তাদের বাউন্সার দিয়েছে। ধোনিকে ক্রিজে নড়াচড়া করার খুব একটা জায়গা দেয়নি ইংল্যান্ড। পরের দুটো ম্যাচেও এ রকম বোলিংই পাবে ভারত। দেখা যাক তার জবাব ওরা কী ভাবে দেয়।
অধিনায়ক আর ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়ন মর্গ্যান দারুণ করেছে। বোলিংয়ে বারবার বদল করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রান তোলার স্রোত আটকেছে। দ্রুত দুটো উইকেট হারানোর পরেও দারুণ ভাবে রান তাড়া করেছে। এত ভাল ভাবে কাজটা করেছে যে, জো রুটকে কোনও কষ্টেই পড়তে হয়নি।
কানপুরে দল নিয়ে ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। অশ্বিন-জাডেজাদের বিশ্রাম দিয়ে নতুন মুখদের দেখে নিয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিটায় নতুনরা নজর এড়িয়ে গিয়েছে। তবে কে বলতে পারে, শেষ দুটো ম্যাচে ওরা মাঠে লোক টানবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy