সূর্য কুমার যাদব ব্যাটে নায়ক হয়ে থাকলে বোলিংয়ে নিঃসন্দেহে যুজবেন্দ্র চহাল। ভুবনেশ্বর কুমার ২২ রানে ৪, দীপক চাহার ২৪ রানে ২ উইকেট নিলেও শুরু থেকে এই লেগ স্পিনার চাপ বজায় রেখেছিলেন। তাই তো ১৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে হেসে খেলে প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩৮ রানে জিতে নিল শিখর ধবনের ভারত। এই প্রচন্ড গরমেও রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য ১২৬ রানে গুটিয়ে গেল মিকি আর্থারের ছেলেরা। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।
কম রানে আটকে রাখলেও শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা কিছুতেই মিটছে না। ৫০ রান তুলতে গিয়ে ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ বাড়াতে থাকে ভারতীয় বোলিং। ক্রুনাল পাণ্ড্য, চহাল, ভুবির দাপটে শ্রীলঙ্কার তখন নাজেহাল অবস্থা। এরপর তাদের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না।
রাতের দিকে সাদা বলে খেলা। ম্যাচের বয়স বাড়লে শিশিরের সমস্যা আরও ভোগাবে। তাই সব চিন্তা করেই টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা। তাঁর সেই সিদ্ধান্তের দাম দিলেন সতীর্থরা। ধবনের ভারতকে মাত্র ১৬৪ রানে আটকে দিল শ্রীলঙ্কা।
বাইশ গজে ফের স্বমহিমায় সূর্য কুমার যাদব। ছবি - টুইটার
#TeamIndia win the 1st #SLvIND T20I by 38 runs 💪
— BCCI (@BCCI) July 25, 2021
We go 1-0 in the series 🙌 pic.twitter.com/9FfFbx2TTZ
ইনিংসের প্রথম বলে পৃথ্বী শকে ফিরিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ধবন ও সঞ্জু স্যামসন রান তোলার চেষ্টা করলেও বিপক্ষের উপর পুরো জাঁকিয়ে বসতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব চললেও স্লোয়ার বাউন্সার, স্লোয়ার ইয়র্কার, ওয়াইড ইয়র্কারের ব্যবহার বেশ ভালই করছিলেন মিকি আর্থারের ছেলেরা। এই সুযোগে স্যামসনের উইকেটও চলে এল।
কিন্তু সূর্য কুমার যাদব থেমে থাকার পাত্র নন। ক্রিজে এসেই সেটা বুঝিয়ে দিলেন। আত্মবিশ্বাস যেন সিলিন্ডার বোঝাই করে বাইশ গজে নিয়ে আসেন। ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চ, চুইনগাম চিবোতে চিবোতে নিজের খেয়ালে বিপক্ষকে বধ করেন এই মুম্বইকর। রবিবারও সেই দৃশ্য দেখা গেল।
চলতি বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর টি-টোয়েন্টি অভিষেক ঘটেছিল। প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৫৭ ও ৩২। আর এ দিন থামলেন ৫০ রানে। মাত্র ৩৪ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়। সূর্যের সঙ্গ পেয়ে ধবন ৪৬ করলেন। খেললেন ৩৬ বল। তবে গব্বরের ব্যাটিংয়ে সেই আগুনে মেজাজ ছিল না।
ফের নজর কাড়লেন ভুবনেশ্বর কুমার। ছবি - টুইটার
দলের স্কোরবোর্ডে তখন ১১৩, ধবন ফিরে গেলেন। এর কিছুক্ষণ পরে অর্ধ শতরান সেরেই আউট হলেন সূর্য। ভারতের রান তখন ১২৭। শেষের দিকে ঈশান কিশন ১৪ বলে ২০ রান করলেও ৫ উইকেটে ১৬৪ রানে আটকে গেল ভারত।
তবে ম্যাচ জিততে মোটেও বেগ পেতে হয়নি। কারণ বিপক্ষের ব্যাটিংয়ে যে তিলকরত্নে দিলশান, সনথ জয়সূর্য, কুমার সঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে নামগুলি আর নেই। তাই তাদের সেই মরিয়া ভাবেরও বড্ড অভাব।