ছবি: রয়টার্স।
জোহানেসবার্গের পরে এ বার পোর্ট এলিজাবেথ। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান ডে সিরিজের লড়াই প্রায় শেষের দিকে। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে রবিবারই পোর্ট এলিজাবেথে পৌঁছে গেল ভারত। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্বাগত জানানো হল স্থানীয় রীতি এবং গানবাজনার সঙ্গে।
শনিবার জোহানেসবার্গে ভারতের দুই রিস্টস্পিনারকেই ভাল ভাবে সামলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শুধু সামলানোই নয়, পাল্টা আক্রমণও করেছেন ডেভিড মিলার, হেনরিক ক্লাসেন-রা। ম্যাচের সেরা ক্লাসেন বলেছেন, তাঁরা ভারতীয় স্পিনারদের খেলার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রস্তুতির পিছনে এক ভারতীয় স্পিনারেরও অবদান আছে! যাঁর নাম অজয় রাজপুত। অজয় অবশ্য রিস্টস্পিনার নন। তিনি অফস্পিন করেন। মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটার। জোহানেসবার্গে স্থানীয় ক্রিকেট লিগের স্পিনার। মরিয়া হয়ে সেই অজয়কেই নেটে ডেকে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে অজয়ের অফস্পিন খেলেই বাইশ গজে দাপট দেখিয়েছেন মিলাররা, এতটা কেউই ভাবছেন না। কিন্তু ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোর ছক যে দক্ষিণ আফ্রিকা করা শুরু করেছিল, সেটা পরিষ্কার।
বছর চারেক আগে মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি খেলা এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘জোহানেসবার্গ ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান আমাকে প্রথমে ফোন করে ডেকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেটে এসে বল করতে হবে। আমিও সেটাই করেছি।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় ক্রিকেটের সব চেয়ে সফল এই অফস্পিনার পাশাপাশি লেগস্পিনটাও করেন। জোহানেসবার্গ ম্যাচের আগে দীর্ঘ সময় ধরে এই ভারতীয় স্পিনারকে জে পি ডুমিনি, হাশিম আমলাদের বিরুদ্ধে নেটে বল করতে দেখা গিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার নেটে বল করার অভিজ্ঞতা থেকে অজয় বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা মনে করছিল, কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহাল বলের গতি খুব কমিয়ে ফ্লাইট করাচ্ছে। ফলে ওদের খেলতে সমস্যা হচ্ছে।’’ আপনাকে ঠিক কী করতে বলা হয়েছিল নেটে? অজয় বলেছেন, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল, যতটা সম্ভব ফ্লাইট করাও আর স্লো করো বল। যাতে কুলদীপদের বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ওরা। আমিও সে রকম ভাবেই নেটে বল করে গিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy