রবিবার দৃষ্টিহীন মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সোমবার আরও এক বার দেশকে বিশ্বকাপ দিলেন মহিলারা। এ বার কবাডি দল। সোমবার বাংলাদেশের ঢাকায় ফাইনালে চিনা তাইপেইকে ৩৫-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
গোটা প্রতিযোগিতাতেই শৃঙ্খলা, আগ্রাসন এবং ধৈর্যের ভারসাম্য দেখিয়েছে ভারত। ফাইনালে তারা নিখুঁত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। রক্ষণ শক্তিশালী রেখে চিনা তাইপেইয়ের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। প্রথমার্ধে অল্প ব্যবধানে এগিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আগ্রাসী খেলতে শুরু করে তারা। চিনা তাইপেইকে ম্যাচে ফেরার কোনও জায়গাই দেয়নি।
মহিলাদের কবাডিতে ভারতের দাপট আরও এক বার প্রতিষ্ঠিত হল। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচেই জিতেছিল তারা। প্রথম দল হিসাবে সেমিফাইনালে উঠেছিল। শেষ চারে ইরানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। চিনা তাইপেইকেও হারিয়ে ট্রফি জিতেছে তারা। ২০১২-এ প্রথম বার মহিলাদের বিশ্বকাপ হয়েছিল। সে বারও জিতেছিল ভারত। ১৩ বছর পর এ বার মহিলাদের বিশ্বকাপ হয়েছে। বিজয়ী দলের নামও সেই ভারত।
অধিনায়ক রিতু নেগি এবং সহ-অধিনায়ক পুষ্পা রানা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছেন তাঁরা। চম্পা ঠাকুর, ভাবনা ঠাকুর এবং সাক্ষী শর্মার পারফরম্যান্সও উল্লেখযোগ্য। রেডিং থেকে ডিফেন্ডিং, সব বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন:
ভারতের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “বিশ্বকাপ জিতে দেশকে গর্বিত করার জন্য মহিলা কবাডি দলকে অনেক অভিনন্দন। অসাধারণ জেদ, দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে গোটা দল। ওদের এই জয় অসংখ্য তরুণীকে উৎসাহিত করবে কবাডি খেলতে আসার জন্য। বড় স্বপ্ন দেখো।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, “মহিলাদের কবাডি দল ইতিহাস তৈরি করায় আমরা গর্বিত। তোমাদের জয় এটাই প্রমাণ করে যে খেলাধুলোয় ভারতের প্রতিভার সঙ্গে কেউ পাল্লা দিতে পারবে না। ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।”