গোলের জন্য এখন জাভি লারাই ভরসা এটিকের। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
জিকোর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আইএসএলের মেগা ম্যাচেও কি গ্যালারিতে থাকবেন হেল্ডার পস্টিগা?
পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সেই সম্ভাবনাই বাড়ছে। যদিও আটলেটিকো শিবির সূত্রে খবর, কোচ জোসে মলিনা বৃহস্পতিবার নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, গোয়া ম্যাচের আগে পস্টিগাকে তিনি আরও কিছুটা দেখে নিতে চান। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই হেল্ডার পস্টিগাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। মুম্বই ম্যাচ ড্র করে কলকাতা ফেরার পর এ দিনই বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে প্র্যাকটিস করল এটিকে। টিম বাস থেকে নামার সময়ই মাঠে হাজির মিডিয়াকে দেখেই গম্ভীর মুখে ড্রেসিংরুমে চলে যান পস্টিগা। তার পর মাঠে নামার পর এক প্রান্তে টিমের ফিজিক্যাল ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে প্রথমে হাল্কা জগিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু মিনিট তিনেক পরেই তা বন্ধ করে প্রথমে বড় বড় স্টেপ ফেলে হাঁটতে শুরু করে দেন। মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই স্ট্রেচিং শুরু করে দেন। তাও বেশি সময়ের জন্য নয়। মেরে কেটে মিনিট তিনেক। তার পর এসে মাঠের এক কোণে বসে পড়েন। এর পরেই টিমের ফিজিওর নির্দেশ মতো ট্রেনিং করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন টিমের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তিরি। তাঁরও হাল্কা চোট। তবে টিম সূত্রে খবর, গোয়া ম্যাচে তিনি খেলবেন। চোট যাতে না বাড়ে তাই এ দিন পুরোদমে তাঁকে প্র্যাকটিস করাননি মলিনা।
আটলেটিকো শিবির অবশ্য পস্টিগাকে নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। কিন্তু ইতিমধ্যেই এটিকে শিবিরেই তাদের মার্কিকে নিয়ে ঠকঠকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিমের এক সদস্য এ দিন বলছিলেন, ‘‘গত বছর ওকে পাইনি। এ বারও কেরল ম্যাচের পর ও কিন্তু সে ভাবে প্র্যাকটিস করেনি। আগামী ম্যাচগুলোতে পস্টিগাকে পাওয়া যাবে কি না তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।’’
গত বছর বাহাত্তর মিনিট সার্ভিস পাওয়া গিয়েছিল তাঁর। এ বার তাই পস্টিগা আইএসএলে কিছু করে দেখাতে মরিয়া ছিলেন। পর্তুগালের ক্লাবে খেলে তিনি যে ম্যাচ ফিট সে কথাও কলকাতায় পা দিয়ে মিডিয়াকে বলেছিলেন পস্টিগা। মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে পুরোদমে খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই কোচিতে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁজরে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান কলকাতার এই পর্তুগিজ তারকা।
কবে পস্টিগাকে ফের মাঠে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে এটিকে কর্তারা কিছু না বললেও টিমের প্রাক্তন ফিজিও পুষ্পকেতু কোনার বলছেন, ‘‘ওর মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট দেখিনি। তবে টিভিতে কেরল ম্যাচ দেখে মনে হল ওঁর পাঁজরের ইন্টারকস্টাল পেশিতে চোট হয়েছে। তাই শ্বাসকষ্টের কথা উঠেছে। যদি তা হয়ে থাকে তা হলে কিন্তু গোয়া ম্যাচে পস্টিগার মাঠে নামা মুশকিল। জোর করে নামলে ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে। কন্ডিশনে নেই বলেই হয়তো ও সে ভাবে প্র্যাকটিস করতে পারছে না।’’ যদিও এটিকের এক কর্তার দাবি—পস্টিগার এমআরআই রিপোর্টে নেতিবাচক কিছু মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy