Advertisement
E-Paper

কলমডী-কাণ্ডে পিছু হটল আইওএ

ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া মিলেছিল আগেই। তার জেরেই এ বার দুর্নীতি-মামলায় জড়িত সুরেশ কলমডী এবং অভয়সিংহ চৌটালা—দুই লাইফ প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন পুর্নগঠনের কাজ শুরু করার কথা জানাল আইওএ।

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৭

ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া মিলেছিল আগেই। তার জেরেই এ বার দুর্নীতি-মামলায় জড়িত সুরেশ কলমডী এবং অভয়সিংহ চৌটালা—দুই লাইফ প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন পুর্নগঠনের কাজ শুরু করার কথা জানাল আইওএ। শুধু তাই নয়। চিঠি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত ক্রীড়ামন্ত্রককে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

কেন দুর্নীতির মামলায় জড়ানো দুই ব্যক্তিকে ফের আইওএ-তে ফিরিয়ে আনা হল তা জানতে চেয়ে ক্রীড়ামন্ত্রক শোকজ করেছিল আইওএ-কে। আইওএ প্রেসিডেন্ট এন রামচন্দ্রন সেই ‘শোকজ’-এর জবাবে জানিয়ে দিয়েছেন—কলমডী এবং চৌটালা দু’জনের অন্তর্ভুক্তিই আটকে গিয়েছে কিছু টেকনিক্যাল নিয়মে।

মঙ্গলবার আইওএ-র তরফে রামচন্দ্রনের সেই কারণ দর্শানো চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছে ক্রীড়া মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে ক্রীড়া সচিব ইনজেটি শ্রীনিবাস এ দিন বলেন, ‘‘পুরো চিঠি পড়ে দেখা হয়নি। তবে চিঠির উপরে লেখা বিষয়বস্তু পড়েছি। সংবিধান মেনে আইওএ শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত তখনই তুলে নেব যখন আইওএ তাদের সিদ্ধান্ত বদলাবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে বলে আমরা খুশি।’’

আসলে কলমডী এবং চৌটালাকে বাতিল করে এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন আইওএ কর্তারা। এক দিকে তারা যেমন ক্রীড়ামন্ত্রকের শাস্তি রুখতে পেরেছেন, তেমনই ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি যাতে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয় তাও এড়িয়েছেন রামচন্দ্রনরা।

গত ২৭ ডিসেম্বর আইওএ-র বার্ষিক সাধারণ সভায় কলমডী ও চৌটালাকে এই সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই সিদ্ধান্ত বদল করাতে আসরে নামে ক্রীড়ামন্ত্রক। কলমডী যদিও পদ প্রাপ্তির পরেই দেশজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সরে দাঁড়ান।

যার দায় ঝেড়ে ফেলে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে রামচন্দ্রন এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, এজিএম-এ লাইফ প্রেসিডেন্ট পদের জন্য দু’জনের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার মানে কখনই এটা নয় যে আইওএ তাতে সম্মত হয়েছে। চিঠিতে রামচন্দ্রন লিখেছেন, ‘‘চেন্নাইতে ২৭ ডিসেম্বরের এজিএম-এ একদম শেষ লগ্নে এক সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে দু’জন লাইফ প্রেসিডেন্ট মনোনীত করার পক্ষে বলেন। যেহেতু আইওএ-র সংবিধানের সপ্তম ধারা অনুযায়ী, অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কোনও নোটিশ জমা পড়েনি তাই ভোটে তা পাশও হয়নি।’’

Suresh Kalmadi life presidents IOA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy