বন্দর-শহর বিশাখাপত্তনমে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারালেই প্রথম বার আইপিএল ফাইনাল খেলতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেই সিএসকের কাছে ছয় উইকেটে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালসকে। হারলেও ভেঙে পড়েননি দিল্লি অধিনায়ক। জানিয়েছেন, তাঁর দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের তাগিদ ও দায়বদ্ধতা ছিল দুর্দান্ত।
কোচ রিকি পন্টিং ও পরামর্শদাতা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই মরসুমে নতুন নাম নিয়ে আইপিএল খেলতে নেমেছিল দিল্লি। যে প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, ‘‘পন্টিং একজন কিংবদন্তি। ড্রেসিংরুমে ও কথা বললে সবাই তা মন দিয়ে শুনত। দলের তরুণ ক্রিকেটাররা পন্টিংকে কোচ হিসেবে পেয়ে ভাগ্যবান।’’ একই কথা বলেছেন দিল্লির আর এক ক্রিকেটার কলিন মুনরোও। তিনি বলছেন, ‘‘ক্রিকেটাররা এ বার প্রত্যেকে জানত, কার কী দায়িত্ব। যে ভাবে সৌরভ ও পন্টিং দলের একাত্মতা বাড়িয়েছিল তা দুর্দান্ত।’’ শ্রেয়স আরও বলছেন, ‘‘হেরে গেলেও প্রচুর ইতিবাচক বিষয় শিখেছি আমরা। মরসুমের শুরুতে দলে একাধিক তরুণ ক্রিকেটার ছিল। কিন্তু কোচ পন্টিং ও উপদেষ্টা সৌরভ যোগ দেওয়ার পরে মানসিকতাই বদলে গিয়েছিল দলটার। কারণ, সৌরভ ও রিকি দু’জনে মিলে বুঝিয়ে দিয়েছিল কী ভাবে এই মরসুমে খেলা উচিত আমাদের। এতেই সবার উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল।’’
দিল্লির অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘শুরুর মুম্বই ম্যাচ থেকেই দুর্দান্ত ভাবে এ বার আইপিএল শুরু করেছিলাম আমরা। ঋষভ (পন্থ) প্রথম থেকেই দুরন্ত ছন্দে খেলে গিয়েছে। তার পর থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রতিটি খেলোয়াড় দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে। লিগ পর্বে এ কারণেই দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা। গত মরসুমে দিল্লি ভাল খেলতে পারেনি। কিন্তু এ বার ভাল খেলার তাগিদ ছিল বলেই দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারা গিয়েছে।’’
ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে শ্রেয়স বলেন, ‘‘গোটা প্রতিযোগিতায় একটা দল হিসেবে খেলে গিয়েছি আমরা। ছেলেদের প্রয়াসে আমি গর্বিত। এই মরসুমে অনেক কিছু শিখেছি। যা পরের মরসুমে কাজে লাগাতে হবে।’’
ফাইনালে ওঠা দুই দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের মতোই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু রান রেটের হিসেবে তৃতীয় হতে হয় তাদের। এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারালেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জেতা সম্ভব হয়নি। চেন্নাইয়ের কাছে হেরে গেলেও পিচকে দোষারোপ করতে নারাজ শ্রেয়স। বলছেন, ‘‘ব্যাট করার জন্য কোনও কঠিন উইকেট ছিল না বিশাখাপত্তনমে। আসলে আমাদের শুরুটা প্রত্যাশা মতো হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি আমরা। আমি নিজেও সময় নিচ্ছিলাম। পরিকল্পনা ছিল শেষের দিকে আক্রমণে যাওয়ার। কিন্তু বল মারতে গিয়ে সময়ের ভুল হওয়ায় ফিরতে হয়েছিল।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘মন্থর উইকেটে আমরাও ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তার জন্য বিশেষ অনুশীলন হয়েছিল। পিচকে দোষারোপ করছি না।’’