দুই অধিনায়ক। ধোনি ও শ্রেয়াস আয়ার। শেষ হাসি তোলা রইল ধোনির জন্য। ছবি: দিল্লি ক্যাপিটালসের ফেসবুক পেজ থেকে।
২০১২ সালের আইপিএল-এ শেষ বার প্লে-অফে গিয়েছিল দিল্লি। তার পরে আর সেই অর্থে সাফল্য নেই দিল্লির। রিকি পন্টিং-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল বিশাখাপত্তনমে। দিল্লিকে উড়িয়ে দিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস পৌঁছল ফাইনালে।
কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হার মেনেছিল সিএসকে। ফাইনালে মুখোমুখি মুম্বই ও চেন্নাই। আগের হারের প্রতিশোধ কি রবিবারের ফাইনালে নিতে পারবেন ধোনিরা?
আজকের ম্যাচ ছিল অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের। শেষমেশ অভিজ্ঞতার কাছে দমে গেল তারুণ্য। এদিন টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। ২০ ওভারে দিল্লি করল ৯ উইকেটে ১৪৭ রান। শুরু থেকেই উইকেট হারাল দিল্লি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পৃথ্বী শ চোখধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন। এদিন তাঁর ব্যাট কথা বলল না। দীপক চহার ফেরালেন তাঁকে। তখনই ছন্দ নষ্ট হল।
আরও খবর— জীবনযুদ্ধে সঙ্গী বাবা, রেকর্ডের পর রেকর্ড করে চলেছেন জাতীয় দলের এই তরুণ ওপেনার
অভিজ্ঞ শিখর ধবনও ঠকে গেলেন ‘বুড়ো’ সিংহ হরভজনের স্পিনে। ধোনির হাত থেকে প্রায় ফস্কে যাচ্ছিল ক্যাচ। কলিন মুনরো (২৭), শ্রেয়াস আয়ার (১৩), অক্ষর পটেলরা (৩) এলেন আর গেলেন। কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ঋষভ পন্থ একা যা লড়লেন। ২৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তাঁকে দেখতে হল সতীর্থদের অয়ারাম-গয়ারাম ব্যাটিং।
১৪৭ রানের পুঁজি নিয়ে সিএসকে-কে থামাতে হলে শুরু থেকেই উইকেট ফেলতে হত। অভিজ্ঞ দু’ প্লেসি ও শন ওয়াটসন আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন। দু’ প্লেসি ৩৯ বলে ৫০ করেন। ওয়াটসনও ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এই দুই ব্যাটসম্যানই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন। সুরেশ রায়না (১১), ধোনি (৯) ব্যর্থ। বাকি কাজটা সারেন অম্বতি রায়ুডু (২০ অপরাজিত)। এক ওভার বাকি থাকতে ছ’ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
দিল্লি ক্যাপিটালস (২০ ওভার) ১৪৭/৯
চেন্নাই সুপার কিংস (১৯ ওভার) ১৫১/৪
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy