আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় টিমে তিনি আশা-ভরসার প্রাণভোমরা। অধিনায়কত্ব হোক বা বোলারের ত্রাস হয়ে ওঠার সমীকরণ— ভারতীয় শিবিরে আস্তিনে রাখা শ্রেষ্ঠ তাস তিনিই! বিরাট কোহালি। আধুনিক ক্রিকেট দুনিয়ায় যে ব্যাটসম্যানদের ক্রিকেট দেবতাও কুর্ণিশ করেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। অথচ সৌভাগ্যের সব মাইলস্টোনের মাঝেই কোন ফাঁকে যেন ঢুকে পড়েছে আর একটা অঙ্ক। সেই অঙ্কের স্বাদ তিতকুটে। কেরিয়ারে বিভিন্ন শৌর্যের পাশে কুঁকড়ে থাকা এক রেকর্ডও।
কোহালির আইপিএলের খাতা খুললে কিন্তু এই রেকর্ড আড়ালে রাখার উপায় নেই। ২০০৮-এ আলোড়ন তুলে ভারতে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। প্রচুর খেলোয়াড়ের উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে এই লিগ। কোনও দল একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে। আবার সাড়া জাগিয়েও অনেক দলেরই শেষমেশ ট্রফি ছোঁয়ার সৌভাগ্য হয়নি। কেবল দল নয়, ব্যক্তির নিরিখেও এ কথা সমান ভাবে প্রযোজ্য। আইপিএলের সবথেকে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান হয়েও সবথেকে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ডটিও তাঁর দখলে।
আইপিএলের দ্বাদশ সিজন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ১২টি আইপিএলের সিজনে ১৬৮টি ম্যাচে বিরাটের সংগ্রহ ৫ হাজার ১১০ রান। কেকেআরের বিরুদ্ধ ৮৪ রানের সৌজন্যে দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে টি-২০ ক্রিকেটে ৮ হাজার রান পূর্ণ করেছেন তিনি। কিন্তু গতকালের হারের পর সমস্ত আইপিএল সিজন মিলিয়ে সবথেকে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ডটিও সঙ্গী হল তাঁর।
কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪৯ বলে ৮৪ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস কেলার পরও রাসেল-ঝড়ের কাছে হারতে হয়েছে আরসিবিকে। এই হারের সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে সবথেকে বেশি ম্যাচে হারলেন তিনি। কালকের হার নিয়ে আইপিএলে কোহালিকে হারতে হল মোট ৮৬টি ম্যাচ। ম্যাচ হারের তালিকায় কোহালির পরই রয়েছেন রবিন উথাপ্পা। তিনি হেরেছেন মোট ৮৫টি ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিয়ানক রোহিত শর্মাও হেরেছেন ৮১টি ম্যাচ। অন্যদিকে দীনেশ কার্তিক হেরেছেন মোট ৭৯টি ম্যাচ। আরসিবি-র অপর তারকা এবি ডেভিলিয়ার্সকেও হারতে হয়েছে ৭৫টি ম্যাচ। এবি-ও কিন্তু নানা ফর্মের ক্রিকেটে অন্যতম সাড়া জাগানো ব্যাটসম্যান। তা হলে কি ক্রিকেট দেবতা ইচ্ছা করেই সাফল্যের পাশে কিছুটা ব্যর্থতার খতিয়ানও রেখে দিয়েছেন তারকাদের সার্ভিস বুকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy