মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বল হাতে হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছিলেন প্যাট কামিন্স। সেই ম্যাচের পরে কেউ বলছিলেন, সাড়ে পনেরো কোটি জলে গেল। কেউ আবার বলেছিলেন, শাহরুখ খান ভাবছেন কী ভুল করলেন।
প্রথম ম্যাচে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক তাঁকে দিয়ে চার ওভার করানোর সাহস দেখাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে কিন্তু দেখা গেল অন্য এক প্যাট কামিন্সকে। আগের ম্যাচের প্রায়শ্চিত্ত করলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন একটা ম্যাচের পরেই কাউকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যে দিন খেলতে নেমেছিলেন, সে দিনই কামিন্সের কোযারান্টিন পর্ব শেষ হয়েছিল। কোয়রান্টিনের পরে মাঠে নেমেই আগুন জ্বালানো সহজ নয়। সে দিন ব্যর্থ হয়েছিলেন কামিন্স। সমালোচকদের নিন্দায় ভিতরে ভিতরে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে নিন্দুকদের জবাব দিলেন অজি পেসার।
টি২০ ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম সেরা দুই ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টো। কামিন্স তাঁদের মাথাই তুলতে দিলেন না। কামিন্সের করা ডেলিভারি গুলোর জবাব ছিল না হায়দরাবাদের দুই ওপেনারের কাছে। স্বদেশীয় ওয়ার্নার খুব ভাল জানেন কামিন্সকে। তাঁকেও ঝামেলায় ফেললেন টেস্ট ক্রিকেটের সেরা বোলার। তাঁর প্রথম তিন ওভার পার্থক্য গড়ে দিল। বিষাক্ত অফকাটারে উড়িয়ে দিলেন বেয়ারস্টোর স্টাম্প। তার আগের বলেই রিভিউ নিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। এ দিন চার ওভারে তিনি দিলেন মাত্র ১৯ রান, নিলেন এক উইকেট।
আগের দিন নেটাগরিকদের নিন্দায় ভরে গিয়েছিল নেট দুনিয়া। আজ দেখা গেল প্রশংসার ঝড়। ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহ নাইট পেসারের পারফরম্যান্স দেখে উচ্ছ্বসিত। কামিন্সের প্রশংসা করে যুবি টুইট করেন, ‘‘দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এল প্যাট কামিন্স। প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে যেভাবে ফিরে এল, তা তরুণ পেস বোলারদের কাছে্ শিক্ষণীয়। খুব দ্রুত নিজের লেন্থ পরিবর্তন করে সানরাইজার্স ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ প্রয়োগ করে গেল। দারুণ বোলারের এটাই পরিচয়।’’