লড়াকু ইনিংস খেলেও পরাজয়ের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াসকে। ছবি: আইপিএল।
এ বারের আইপিএল হয়তো চিনিয়ে দিল ভবিষ্যতের ভারত অধিনায়ককে। দিল্লি ক্যাপিটালসের শ্রেয়াস আইয়ার ছিলেন এ বারের সব চেয়ে কনিষ্ঠ অধিনায়ক। ট্রফি হাতে উঠল না ঠিকই, কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব প্রশংসা কাড়ল।
ফাইনালে দল যখন বিপদে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ১৬ রানে পড়ে গিয়েছে ২ উইকেট, ক্রিজে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ৫০ বলে অপরাজিত থাকলেন ৬৫ রানে। যা লড়াই করার মতো অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল দলকে। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। ফলে, ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল তাঁকে।
FIFTY!
— IndianPremierLeague (@IPL) November 10, 2020
Third half-century of the season for @ShreyasIyer15. An important knock by the #DelhiCapitals Skipper.
Live - https://t.co/iH4rfdz9gr #Dream11IPL #Final pic.twitter.com/LmYJoRPMc7
পরিসংখ্যান বলবে, এ বারের আইপিএলে ১৭ ম্যাচে ৫১৯ রান করে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীর তালিকায় তিনি চতুর্থ। সতীর্থ শিখর ধওয়নের থেকে ৯৯ রানে পিছিয়ে থাকলেও দিল্লির হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান কিন্তু তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে। যদিও স্কোরবোর্ড যা দেখাবে না তা হল এক অকুতোভয় ব্যাটসম্যানকে পেয়ে গিয়েছে ভারত। ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে চার নম্বর জায়গা নিয়ে যাবতীয় চিন্তা আপাতত তুলে রাখার ভরসা জোগালেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফাইনালে ফের হাফ সেঞ্চুরি, দলের সঙ্গে নজির গড়লেন রোহিতও
আরও পড়ুন: পাওয়ারপ্লে-তে বোল্টের রেকর্ড, ১৬ উইকেট নিয়ে ছুঁলেন মিচেল জনসনকে
ফাইনালে পরাজয়ের পর শ্রেয়াসের গলায় আবার শোনা গেল কোচ রিকি পন্টিংয়ের প্রশংসা। দিল্লি অধিনায়ক বললেন, “যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের মধ্যে সেরা রিকিই। যে পরিমাণ স্বাধীনতা ওর থেকে পাওয়া যায়, তা অকল্পনীয়। কোচ হিসেবে রিকি খুব আত্মবিশ্বাসী। তাই খুব শ্রদ্ধা করি। যে ভাবে উনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন, তা দুর্দান্ত। আর আইপিএল সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লিগগুলোর একটা। আমাদের সফরটা দারুণ ছিল। ছেলেদের জন্য আমি গর্বিত। ফাইনালে ওঠাও সহজ কাজ নয়। আমরা পরের বার আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব। সমর্থকদের ধন্যবাদ মরসুম জুড়ে পাশে থাকার জন্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy