বিদেশি হারানোর সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজস্থান। ছবি আইপিএল
গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএল। ভারতে সেই দিন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। পরের ১৬ দিনে ১৭টি ম্যাচ হয়েছে। আর সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাও। সোমবারই তা সাড়ে তিন লক্ষের গন্ডি পেরিয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, অতিমারির এই কঠিন সময়েও আইপিএল-এর মতো প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক? তাঁদের বক্তব্য, এর থেকে অনেক কম ভয়ঙ্কর অবস্থা থাকা সত্ত্বেও গত বছর আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে এ বার যখন উত্তরোত্তর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন এই প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার অর্থ কী?
প্রশ্নটা আরও বেশি উঠছে একের পর এক ক্রিকেটার প্রতিযোগিতা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায়। আইপিএল-এর আগেই অনেক ক্রিকেটার অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটা বড় অংশ অস্ট্রেলীয়। তাঁরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তি আর নিতে পারছেন না। এঁদের মধ্যে ছিলেন জশ হ্যাজেলউড, মিচেল মার্শ, জশ ফিলিপ এবং মার্ক উড।
কাকতালীয় হলেও সত্যি, আইপিএল-এর মাঝে প্রতিযোগিতা ছাড়া ক্রিকেটারদের মধ্যেও অস্ট্রেলীয়দের সংখ্যা বেশি। প্রথমে ইংরেজ ক্রিকেটার লিয়াম লিভিংস্টোন দেশে ফিরে যান। তবে সব থেকে বড় ঝটকা আসে রবিবারই। রাজস্থান রয়্যালসের অ্যান্ড্রু টাই এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অ্যাডাম জাম্পা এবং কেন রিচার্ডসন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
এটা ঠিক যে বাকি দেশগুলির তুলনায় করোনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম একটু বেশিই কড়া। কিন্তু ক্রিকেটাররা মুখে না বললেও আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁদের সিদ্ধান্তের পিছনে কতটা ‘ভয়’ কাজ করছে। রবিবার ম্যাচ খেলে উঠেই দিল্লি ক্যাপিটালসের রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানিয়েছেন, আইপিএল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিচ্ছেন তিনি। পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার ফিরবেন।
Official Announcment:
— Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) April 26, 2021
Adam Zampa & Kane Richardson are returning to Australia for personal reasons and will be unavailable for the remainder of #IPL2021. Royal Challengers Bangalore management respects their decision and offers them complete support.#PlayBold #WeAreChallengers pic.twitter.com/NfzIOW5Pwl
বোর্ড অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তে অটল। সোমবারই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়া বা বাতিল করার কোনও প্রশ্নই নেই। তা সে যতই অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অভিনব বিন্দ্রা বা শোয়েব আখতার সমালোচনা করুন। বোর্ডের সিদ্ধান্তের পিছনে কারণও রয়েছে। প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে আর্থিক বিনিয়োগ হয়েছে প্রচুর। এখন সেটি স্থগিত রাখা হলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা।
পাশাপাশি, প্রতিটি দলের হাতেই প্রচুর বাড়তি ক্রিকেটার রয়েছে। তাই বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরে গেলেও দেশীয়দের নিয়ে অনায়াসে লিগ চালিয়ে নেওয়া যায়। ফলে জাম্পা, রিচার্ডসন চলে গেলেও তাঁর প্রভাব আইপিএল-এ পড়ার সম্ভাবনা কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy