অনুপস্থিত: কোহালির না থাকা ভোগাচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। —ফাইল চিত্র।
প্যাট কামিন্স, মহম্মদ শামি, জাহির খান, ক্রিস মরিস, অমিত মিশ্র। সঙ্গে রাবাদা। দশম আইপিএলের সেরা বোলিং বিভাগ হয়তো দিল্লি ডেয়ারডেভিলসেরই। এই বোলিং শক্তি বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানকেই সমস্যায় ফেলার ক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি করুণ নায়ার, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ এবং আদিত্য তারেরা থাকায় দিল্লিতে কিন্তু ভারতের তরুণ ক্রিকেট প্রতিভাও কম নেই। তা ছাড়া রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কোচ থাকায় দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনও দলের পক্ষেই সহজ হবে না।
তবে দিল্লির সমস্যাও রয়েছে। জেপি ডুমিনি আর কুইন্টন ডি’ককের না থাকাটা। তবে এই দুই দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁ-হাতি ক্রিকেটারের অভাব এই তরুণ প্রতিভারা পূরণ করতে পারে। সে যাই হোক ডুমিনি আর ডি’ককের না থাকাটা কিন্তু দিল্লির জন্য নিশ্চিত ভাবেই একটা ধাক্কা। ঠিক একই রকম পরিস্থিতি আবার শনিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের প্রতিপক্ষের, মানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। বিরাট কোহালি আর এবি ডিভিলিয়ার্স নেই। সঙ্গে কেএল রাহুল এবং সরফরাজ খানকেও চোটের কারণেই পাচ্ছে না আরসিবি।
শেন ওয়াটসন আর ক্রিস গেইলকে তাই জ্বলে উঠতে হবে। দু’জনেই কিন্তু এখন জাতীয় দলের বাইরে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ক্রিকেট লিগে খেললেও দু’জনের খেলায় কিন্তু সে রকম আহামরি ফর্ম দেখা যায়নি। এর আগে সাম্প্রতিক যে লিগে গেইল খেলেছে, সেখানে সমর্থকরা হতাশ হয়েছে গেইলের খেলায়। ওয়াটসনও বয়েসের বাধা পেরিয়ে পারফর্ম করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুই মেরুর মধ্যে সংযোগ রেখে চলেছে কেদার যাদব।
ব্যাঙ্গালোরের এই অবস্থায় চাই ধারাবাহিকতা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেটা ছিল না উদ্বোধনী ম্যাচে। দিল্লির বিরুদ্ধে জিততে গেলে কিন্তু সেটা খুব দরকার। টুর্নামেন্টের গোড়ার দিকে যদি ব্যাঙ্গালোর উঠে আসতে না পারে তা হলে পরে কিন্তু সেটা বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে। টুর্নামেন্টের গোড়ার দিকে অনেকটা পিছিয়ে গেলে এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু ব্যাঙ্গালোর পড়ে যেতে পারে যে কোহালি আর ডিভিলিয়ার্স দলে ফিরে এসেও লাভ হবে না। বিরাটদের অনুপস্থিতির ফায়দা তুলতে চাইবে দিল্লিও। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেই এগিয়ে যেতে চাইবে ওরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy