গত বারের ফাইনালিস্ট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর এ বার প্রথম টিম হিসেবে প্লে-অফের দৌড় থেকে সবার আগে ছিটকে গিয়েছে। আগের বার এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে নক আউটে উঠতে হলে পর পর চারটে ম্যাচ জিততে হতো আরসিবি-কে। এ বার অবশ্য শেষ ক’টা ম্যাচ জিতলেও বিরাট কোহালিরা নক আউটে উঠতে পারবে না। কোহালি ভক্তদের জন্য এটা অবশ্যই খারাপ খবর।
একটা টিমে যদি কোহালি, ক্রিস গেল, এ বি ডিভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যান থাকে, তা হলে সেই টিমটার থেকে কী আশা করা যায়? অবশ্যই ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং। যারা বিপক্ষ টিমকে স্রেফ উড়িয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সে সব কিছুই হয়নি। আসলে আরসিবি কখনও ছন্দ পায়নি। কোহালি আর ডিভিলিয়ার্স চোটের জন্য প্রথম কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেনি। ক্রিস গেল ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছে। আর তার ওপর ওদের বোলিং কখনও ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বিরাট, এবি বা গেল আগুন ঝরাতে না পারলেও ডেভিড ওয়ার্নার কিন্তু আমাদের উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে। কেকেআরের সঙ্গে ম্যাচে যেমন ওয়ার্নার একাই শেষ করে দিল বিপক্ষকে। আইপিএল যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্লে অফে জায়গা পাকা করার দিকে যাচ্ছে। তবে চতুর্থ জায়গাটার জন্য কিন্তু লড়াই জমে যেতে পারে। যেখানে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট, কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলস লড়াইয়ে আছে। বুধবার রাতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ভাল জয় পেয়ে লড়াইটা কিন্তু জমিয়ে দিয়েছে দিল্লি। ওরা কিন্তু চতুর্থ জায়গাটার জন্য বড় দাবিদার বলেই আমার মনে হয়।
আরও পড়ুন: রাহুল-ঝড়ে কেকেহার
পঞ্জাবকে দেখে আমার মনে হয়েছে, ওরা বেশি টেনশনে পড়ে না। হয়তো ‘বীরু পাজি’ (বীরেন্দ্র সহবাগ) মেন্টর হিসেবে রয়েছে বলেই এটা হচ্ছে। তবে পঞ্জাবকে উঠতে হলে পর পর কয়েকটা বড় ম্যাচ জিততে হবে। যার জন্য গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড মিলার, হাসিম আমলাদের সেরাটা দিতে হবে। দিল্লি টিমটা আবার দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েক জন দেশি-বিদেশি তরুণ ক্রিকেটারের ওপর। ওদের বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে। শুধু আসল সময় এই সব তরুণ প্রতিভাকে এগিয়ে আসতে হবে।
মুম্বই, কলকাতা বা হায়দরাবাদ টিমগুলোর ব্যাটিং গভীরতা যেমন, বোলিং বৈচিত্রও সে রকম। ওয়ার্নার, কায়রন পোলার্ড বা রবিন উথাপ্পা একাই খেলা শেষ করে দিচ্ছে। এ তিনটে টিমের বোলিং শক্তিও দুর্দান্ত। আমার মনে হয়, প্লে-অফে এই দলগুলো যখন একে অন্যের মুখোমুখি হবে, তখন দুর্দান্ত ম্যাচ দেখা যাবে। চতুর্থ হয়ে যে টিমটা উঠবে, তাদের পক্ষে এই ‘বিগ থ্রি’-কে চ্যালেঞ্জ জানানো কঠিন হবে। কিন্তু ওই যে ক্রিকেটে একটা কথা আছে না, যেটা আবার আইপিএলে বেশি করে খাটে— ভবিষ্যদ্বাণী যে কোনও সময় ভুল প্রমাণ হয়ে যেতে পারে। (গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy