কলকাতার ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দাপট অব্যাহত কলকাতার। শুক্রবার অনায়াসে বিরাট কোহলিদের হারিয়ে দিল শ্রেয়স আয়ারের দল। কেকেআর জিতল সাত উইকেটে। আগে ব্যাট করে বেঙ্গালুরুর তোলা ১৮২ রান সাত উইকেট বাকি থাকতেই তুলে দিল কেকেআর। ম্যাচের পর আনন্দবাজার অনলাইন বিশ্লেষণ করল কলকাতার জয়ের পাঁচ কারণ।
কেকেআরের ওপেনিং জুটি
নিঃসন্দেহে জয়ের প্রথম কারণ। ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইন শুরুটা যে ভাবে করলেন তাতে পরের দিকে কলকাতাকে আস্কিং রেট নিয়ে ভাবতেই হয়নি। প্রথম ছয় ওভারে উঠল ৮৫ রান। ম্যাচ ওখানেই কলকাতার পকেটে চলে এল। যে কোনও দলের কাছেই ওপেনিং জুটি ভাল হলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। কলকাতার ক্ষেত্রেও তাই হল।
বেশি স্লোয়ার বল দেওয়া
বেঙ্গালুরুর পিচে বল পড়ে ব্যাটে আসছিল ভালই। কিন্তু স্লোয়ার বল দিলে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম দিকে কেকেআর সেটা বুঝতে পারেনি। তার পর তাদের পেসারেরা একের পর এক স্লোয়ার দিয়ে গেলেন। ফলও পেলেন। বেঙ্গালুরুর রান তোলার গতি কমে গেল। তুলনায় বেঙ্গালুরুর বোলারেরা স্লোয়ার দিতে পারেননি। ফলে রান তাড়া করার সময় কেকেআর ব্যাটারদের সুবিধাই হয়ে যায়।
বেঙ্গালুরুর খারাপ ফিল্ডিং
কম রানের পুঁজি থাকলে অনেক সময় ফিল্ডিং ম্যাচে তফাত গড়ে দেয়। বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের মধ্যে বল বাঁচানোর সদিচ্ছা সে ভাবে ছিলই না। সহজ বল গলালেন যশ দয়ালের মতো ক্রিকেটার। কোহলি, ডুপ্লেসি বাদে বেঙ্গালুরুর ফিল্ডিং মোটেই আহামরি নয়।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট
বেঙ্গালুরুর হয়ে কোহলি একটা দিক ধরে রেখেছিলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে জুটি বাদে সে ভাবে বড় জুটি হয়নি। বেঙ্গালুরু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে। বড় কোনও জুটি না হওয়ায় ব্যাটারেরা উইকেটে থিতু হয়ে চালিয়ে খেলার সুযোগ পাননি।
বেঙ্গালুরুর পরিকল্পনার অভাব
বোলিংয়ের সময় ডুপ্লেসির মধ্যে পরিকল্পনার অভাব দেখা গিয়েছে। সুনীল নারাইন পেসারদের মারছেন দেখেও তিনি পাওয়ার প্লে-র মধ্যে কোনও স্পিনারকে আনলেন না। স্পিনার আনতেই সাফল্য পেল বেঙ্গালুরু। মায়াঙ্ক ডাগারের বলে ফিরলেন নারাইন। কিন্তু পাওয়ার প্লে-তে যে রানটা ওঠে, ওখানেই বেঙ্গালুরুর হাত থেকে ম্যাচটা বেরিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy