দিল্লি ম্যাচের পর সৌরভ এবং বিরাট হাত মিলিয়েছিলেন। —ফাইল চিত্র।
রবিবার একই ম্যাচে শতরান করেছেন বিরাট কোহলি এবং শুভমন গিল। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং তরুণ ওপেনারের সেই ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে। বিরাটের শতরানের পরেও তাঁর দল জিততে পারেনি। শুভমনের ইনিংস ম্যাচ জেতায় গুজরাতকে। সেই ম্যাচ শেষ হতেই টুইট করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের টুইটে শুভমনের নাম থাকলেও নেই বিরাট।
রবিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সৌরভ টুইট করে লেখেন, “দেশে কী অসাধারণ প্রতিভা। শুভমন গিল, অসাধারণ। ম্যাচের দুই অর্ধে দু’টি অপূর্ব ইনিংস। আইপিলের মান অন্য প্রতিযোগিতার থেকে অনেক উঁচুতে।” শুভমনের নাম থাকলেও বিরাটের নাম নেই সৌরভের টুইটে। বিরাটের নাম না থাকায় সৌরভের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট ছিলেন সৌরভ। দিল্লি এবং আরসিবির ম্যাচে মুখোমুখি হন তাঁরা। প্রথম বার বেঙ্গালুরুতে হয়েছিল এই দুই দলের ম্যাচ। সেখানে সৌরভ এবং বিরাট ম্যাচ শেষে হাত মেলাননি। ম্যাচের মাঝেও বিরাট অদ্ভুত দৃষ্টিতে সৌরভের দিকে তাকিয়ে থাকেন। দ্বিতীয় ম্যাচে যদিও বিরাট এবং সৌরভকে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু টুইটে বিরাটের নাম না নেওয়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।
এ বারের আইপিএলের মাঝেই ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করে দেন বিরাট এবং সৌরভ। ১৭ এপ্রিল সকালে দেখা যায় বিরাট ইনস্টাগ্রামে সৌরভকে ফলো করছেন না। সন্ধ্যায় দেখা যায় সৌরভও ফলো করছেন না বিরাটকে। ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়কের সম্পর্ক খারাপ হয় ২০২১ সাল থেকে। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সৌরভ। বিরাট তখন দেশের ক্রিকেট অধিনায়ক। তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর নেতৃত্ব দিতে রাজি ছিলেন না। এর পর এক দিনের ক্রিকেটে বিরাটকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তা ভাল ভাবে নেননি বিরাট। এর পরেই বিরাট এবং সৌরভ ভিন্ন সুরে কথা বলেছিলেন। সৌরভ দাবি করেছিলেন যে, তিনি বিরাটকে বলেছিলেন নেতৃত্ব না ছাড়তে। কিন্তু বিরাট বলেছিলেন, তাঁকে এমন কিছু বোর্ডের তরফে কেউ বলেননি। সেই তিক্ততা এখনও মেটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy