তাঁর ছেলে সিদ্ধেশ লাড সুযোগ পেয়েছিলেন কলকাতা দলে। কিন্তু সেই দলের হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৯ সালে কলকাতার হয়ে খেলতে আসেন সিদ্ধেশ। সেই সময় কলকাতার কোচ ছিলেন জ্যাক ক্যালিস। দীনেশ বললেন, “স্থানীয় ক্রিকেটাররা কেমন খেলে সেটা বিদেশি কোচদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। অনেক সময় তাঁদের কাছে সেই তথ্য ঠিক ভাবে পৌঁছয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের চেনা কঠিন হয়ে যায় বিদেশি কোচদের পক্ষে।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গুজরাত টাইটান্স দলের কোচ আশিস নেহরা। ব্যাটিং কোচ হিসাবে রয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন। ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে দলে রাখলেও নেহরা প্রধান কোচ। এ বারের আইপিএলে সাতটি দলে বিদেশি কোচ এবং তিনটি দলে ভারতীয় কোচ। কোন ধরনের কোচ থাকলে সুবিধা হয় দলের? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
গুজরাত দলের ব্যাটার শুভমন গিল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “কার্স্টেন এবং নেহরার ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা প্রচুর। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতানোর সময় ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন কার্স্টেন। ভারতীয়রা কেমন ভাবে খেলে সেটা জানেন তিনি। অন্য কোনও বিদেশি কোচ আইপিএলে এলে তাঁর বুঝতে সময় লাগত, কিন্তু কার্স্টেনের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা হবে না।”
বিদেশি কোচদের ক্ষেত্রে কি এই সমস্যা থেকে যায়? এ বারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (ব্রেন্ডন ম্যাকালাম), চেন্নাই সুপার কিংস (স্টিফেন ফ্লেমিং), মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (মাহেলা জয়বর্ধনে), দিল্লি ক্যাপিটালস (রিকি পন্টিং) রাজস্থান রয়্যালস (কুমার সঙ্গকারা), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (টম মুডি) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার) দলে বিদেশি কোচ রয়েছেন। গুজরাত ছাড়াও পঞ্জাব কিংস (অনিল কুম্বলে) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (সঞ্জয় বাঙ্গার) দলে ভারতীয় কোচ রয়েছেন। রোহিত শর্মার ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “স্থানীয় কোচ থাকলে ক্রিকেটারদের সুবিধা হয়। তবে আইপিএলে কে কোচ হবে তা তো দলগুলির উপর নির্ভর করবে।”
তাঁর ছেলে সিদ্ধেশ লাড সুযোগ পেয়েছিলেন কলকাতা দলে। কিন্তু সেই দলের হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৯ সালে কলকাতার হয়ে খেলতে আসেন সিদ্ধেশ। সেই সময় কলকাতার কোচ ছিলেন জ্যাক ক্যালিস। দীনেশ বললেন, “স্থানীয় ক্রিকেটাররা কেমন খেলে সেটা বিদেশি কোচদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। অনেক সময় তাঁদের কাছে সেই তথ্য ঠিক ভাবে পৌঁছয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের চেনা কঠিন হয়ে যায় বিদেশি কোচদের পক্ষে।”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিক দলে রয়েছে স্বদেশীয় কোচ। দীনেশ বললেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোচ কি আদৌ প্রয়োজন? আমার তো মনে হয় না। কোচ এসে কী নতুন টেকনিক শেখাবে? যে দিন এক জন ক্রিকেটার ছন্দে থাকবে, সে ঠিক খেলে দেবে।” এক সময় আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এখন বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ তিনি। যদিও নিজেকে কোচ নয়, পথনির্দেশক হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন লক্ষ্মী। তিনি বললেন, “আইপিএলে স্থানীয় কোচ থাকলেই সব চেয়ে ভাল। ভবিষ্যতে সব দলে ভারতীয় কোচ দেখতে চাইব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy