হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মিলে প্রচুর রান তুললেও বাকি ব্যাটারদের থেকে সেই ভাবে সাহায্য না পাওয়ায় ১৭০ রানের মধ্যেই তাদের আটকে ফেলা সম্ভব মনে করছিল গুজরাত টাইটান্স। কিন্তু সেই আশায় জল ঢাললেন শশাঙ্ক সিংহ। খেললেন ছ'টি বল। করলেন ২৫ রান। তিনটি ছয় এবং একটি চার মারেন তিনি। গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সফল শামি। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন যশ দয়াল এবং আলজারি জোসেফ।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঋদ্ধির অর্ধশতরান। ছবি: আইপিএল
প্রাক্তনদের দাপটেই হার হায়দরাবাদের। যে রশিদ খান এক সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ম্যাচ জেতাতেন, যে ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট ঝলসে উঠত কমলা জার্সিতে, তাঁরাই বুধবার পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে গেলেন হায়দরাবাদকে।
প্রথমে বল করে রশিদ খান দিলেন ৪৫ রান! চার ওভার বল করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে একটি উইকেটও নিতে পারেননি আফগানিস্তানের স্পিনার। তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে বল হাতে একে বারেই ব্যর্থ রশিদ। ব্যাট হাতে সেটাই পুষিয়ে দিলেন তিনি। হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা এবং এডেন মার্করাম যদিও কাউকেই রেয়াদ করেননি। গুজরাতের লকি ফার্গুসন চার ওভারে দিয়েছেন ৫২ রান। তিনিও কোনও উইকেট পাননি।
শুরুটা যদিও এমন ছিল না। মহম্মদ শামি শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন এবং রাহুল ত্রিপাঠীকে। কিন্তু সেখান থেকেই ৯৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক এবং মার্করাম। হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মিলে প্রচুর রান তুললেও বাকি ব্যাটারদের থেকে সেই ভাবে সাহায্য না পাওয়ায় ১৭০ রানের মধ্যেই তাদের আটকে ফেলা সম্ভব মনে করছিল গুজরাত টাইটান্স। কিন্তু সেই আশায় জল ঢাললেন শশাঙ্ক সিংহ। খেললেন ছ'টি বল। করলেন ২৫ রান। তিনটি ছয় এবং একটি চার মারেন তিনি। গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সফল শামি। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন যশ দয়াল এবং আলজারি জোসেফ।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ১০ রান প্রতি ওভার লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল। কিন্তু উমরান মালিকের গতির সামনে পরাস্ত হতে হয় শুভমনকে। হার্দিক পাণ্ড্য ব্যাট করতে নামতেই তাঁর কাঁধে লাগে উমরানের গোলা। কিন্তু মাঠে চিকিৎসককে ঢুকতেই দিলেন না হার্দিক। এক বার কাঁধটা ঝাঁকিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন ব্যাট করতে। উমরানের পরের বল আছড়ে পড়ল বাউন্ডারিতে। যদিও উমরানের বলেই আউট হন হার্দিক। শুধু হার্দিক নন, বুধবার একাই পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন উমরান। তাঁর দলের আর কোনও বোলার উইকেট নিতেই পারেননি। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন উমরান।
কিন্তু তাঁর দল জিততে পারল না। ঋদ্ধিমান ৬৮ রান করে যখন ফিরছেন, গুজরাতের তখনও জয়ের জন্য ৭৪ রান প্রয়োজন। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চলল দুই দলের। শেষ ওভারে এক দিকে বল হাতে তরুণ জানসেন, অন্য দিকে ব্যাট হাতে রাহুল তেওয়াটিয়া এবং রশিদ খান। ওভারের প্রথম বলে ছয় মেরে হায়দরাবাদের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাহুল। এর পর এক রান নিয়ে রশিদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেন তিনি। বল হাতে প্রচুর রান দিয়ে ফেলা রশিদ বাকি কাজটা করলেন ব্যাট হাতে। তিনটি ছয় মেরে দলকে জেতালেন রশিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy