ফুরফুরে: খোশমেজাজে রিয়ান ও বাটলার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
সেরা ছন্দে থাকা দুই দলের দ্বৈরথ। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস। যে ম্যাচে গোলাপি ব্রিগেডের হয়ে ফিরতে পারেন জস বাটলার ও আর. অশ্বিন।
শেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি তাঁরা। কিন্তু সোমবার ইডেনে প্রায় দেড় ঘণ্টা মতো ব্যাট করলেন ইংল্যান্ড তারকা। তাঁর দুই হাঁটুতেই ব্যান্ডেজ বাঁধা। কিন্তু নড়াচড়া দেখে মনে হল না খুব একটা সমস্যায় পড়ছেন। নেটে প্রবেশ করেই বড় শট মারতে গেলেন না। প্রায় ১৫ মিনিট ব্যাটের মাঝখানে বল লাগানোর চেষ্টা করলেন। তার পর থেকে শুরু হয় তাঁর তাণ্ডব। বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যায় বাটলারকে। যুজ়বেন্দ্র চহাল, নান্দ্রে বার্গার, ট্রেন্ট বোল্টদের বিরুদ্ধে একাধিক বড় শট নিতে দেখা যায় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেন অশ্বিনও। তাঁকে মাঝে মধ্যে উপরের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে চমক দেন সঞ্জু। ইডেনেও সে রকমই কিছু দেখা গেলে অবাক হওয়ার থাকবে না।
রাজস্থানই একমাত্র দল যারা ছন্দে থাকা নাইটদের পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। কারণ, সে দলের সকলেই রানের মধ্যে রয়েছেন। ২৮৪ রান করে রাজস্থানের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় শীর্ষে রিয়ান পরাগ। ২৬৪ রান করে দ্বিতীয় স্থানে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। একটি সেঞ্চুরি-সহ ১৪৩ রান রয়েছে বাটলারের ঝুলিতে। একমাত্র যশস্বী জয়সওয়াল ছন্দে ছিলেন না। শেষ ম্যাচে তিনিও রান পেয়েছেন। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ম্যাচ জিতিয়েছেন শিমরন হেটমায়ারও। বোলিং বিভাগও চমকে দেওয়ার মতো। নতুন বলে সব চেয়ে বেশি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। স্পিন বিভাগে চহাল ও অশ্বিনের মতো দুই তারকা স্পিনার রয়েছেন। কী ভাবে রাজস্থানকে হারানো যায়, সেই উত্তর খুঁজতে হবে নাইটদের।
সাংবাদিক বৈঠকে এসে রিয়ান পরাগ জানিয়েছেন, এখনই আইপিএল জেতা নিয়ে ভাবছে না তাঁর দল। বরং নাইটদের কী ভাবে হারানো যায়, সেটাই লক্ষ্য। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। শেষ ছ’টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জেতার কারণ এটাই। প্রত্যেকটি ম্যাচ সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কোনও দল ছোট নয়, কোনও দল বড় নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষ ছ’বছর ধরে রাজস্থানের সঙ্গে আছি। অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী। আমরা টেবলের শেষেও থেকেছি, টেবলের উপরেও থেকেছি। কিন্তু এ বার ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করছে সকলে। ভাল ক্রিকেট উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’’
চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ৭১ রানের গড় রিয়ানের। স্ট্রাইক রেট ১৫৫.১৯। এক সময়ের নিন্দিত ক্রিকেটার ধীরে ধীরে নির্বাচকদের নজরে উঠে আসছেন। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন। কিন্তু রিয়ান তা নিয়ে ভাবছেন না। বলছিলেন, ‘‘আমাকে ভারতীয় দলের যোগ্য মনে করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আমার লক্ষ্য আপাতত রাজস্থানের হয়ে ভাল ছন্দ ধরে রাখা। এখানে ভাল করতে পারলে আরও এগিয়ে যাব।’’
বড় লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন রিয়ান। সাফল্য কি আসবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy