বেঙ্কটেশদের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন গাওস্কর ফাইল চিত্র
গত বছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্যায়ে চমক দেখিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার। প্রায় একার কাঁধে কেকেআরকে ফাইনালে তুলেছিলেন এই ওপেনার। তার জেরে ভারতীয় দলে সুযোগও পান। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও। গত মরসুমে তাঁর স্পিনের ভেল্কিতে কুপোকাত হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো তারকাও। কুলদীপ যাদবকে বেঞ্চে বসিয়ে টানা খেলানো হয়েছিল বরুণকে। গত টি২০ বিশ্বকাপে জায়গাও পান তিনি। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে সেরকম সাফল্য পাননি দুই ক্রিকেটার। এ বারের আইপিএলে তাঁদের কলকাতা ধরে রাখলেও দাগ কাটতে ব্যর্থ দু’জনে। সুনীল গাওস্করের মতে, এঁরা মরসুমী ফুল।
আইপিএলের এই তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে এক সংবাদপত্রে গাওস্কর লিখেছেন, ‘আইপিএলে প্রতি বছর এই ঘটনা দেখা যায়। প্রতি বছর কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার চমক দেয়। তাদের কাছে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। কিন্তু পরের বছরই ব্যর্থ হয় তারা। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এক মরসুমে শতরান করেছে, বা বল হাতে অনেক উইকেট নিয়েছে। তার পরে আর তাদের সে ভাবে দেখা যায় না। কারণ এরা আইপিএল খেলেই সন্তুষ্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো অত টাকা নেই। তাই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চায় না। তাই এদের প্রতিভা এক জায়গায় থেমে যায়। এরা মরসুমী ফুল।’
যত দিন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে তত দিন তাঁরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হতে পারবেন না বলেই মনে করেন গাওস্কর। তিনি লিখেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটকে তরুণরা গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু ওরা বুঝতে পারছে না যে আইপিএল দু’মাসের একটা প্রতিযোগিতা। সেখানে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলা যায়। অন্য দিকে ঘরোয়া ক্রিকেট সারা বছর ধরে চলে। সব রকম পরিস্থিতিতে খেলতে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেট এক জন ক্রিকেটারকে অনেক বেশি পরিণত করে। ভারতের হয়ে যারা সফল ক্রিকেটার তারা কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই নিজেদের প্রতিভায় শান দিয়েছে।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy