বেঙ্গালুরু তাদের কী কী দিয়েছে, তার একটা তালিকা তৈরি করতে বসলে নাইটরা কিন্তু অনেক কিছু পাবেন।
প্রথম আইপিএল ম্যাচে সেই ম্যাকালাম ঝড় থেকে শুরু করে, ২০১৪-য় চ্যাম্পিয়ন হওয়া, ২০১৬-এ ইউসুফ পাঠান ও আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিং, হালেই সুনীল নারাইন ও ক্রিস লিনের তোলা রান ঝড় ও বুধবারের জয়।
এই তালিকার পাশে আর একটা তালিকা রাখা হলে? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে তাঁরা কী কী পেয়েছেন, তার হিসেব। সেখানে নাইটরা কেকে হার। আইপিএলে দুই দলের মুখোমুখিতে সাগর পাড়ের দল জিতেছে ১৫ বার আর গঙ্গা পাড়ের দল জিতেছে মাত্র পাঁচ বার। শেষ পাঁচ বারের লড়াইয়ে এক বারও জিততে পারেনি নাইটরা।
তার উপর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঝড়-বৃষ্টির দাপট তো আছেই। বিরাট কোহালিদের কপাল পুড়েছিল আগের বার এই লড়াইয়ে বৃষ্টি জিতে যাওয়ায়। এ বার গম্ভীরদের জয়ের পিছনে এই ‘সাবএয়ার’ ড্রেনেজ সিস্টেমের অবদান যথেষ্ট। বুধবার হায়দরাবাদকে হারানোর পর গৌতম গম্ভীর টুইট করে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থাকে ধন্যবাদও জানান এই নতুন প্রযুক্তি আনার জন্য।
আরও পড়ুন: গাঁট মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আজ ‘সেমিফাইনাল’ নাইটদের
আবহাওয়া ওয়েবসাইট বলছে শুক্রবারও তেমনই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বুধবারের ম্যাচও প্রায় ভেস্তে দিচ্ছিল। এই আশঙ্কা সত্যি হলে আবার বিপদের সামনে কেকেআর। কারণ, বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হলে, সুপার ওভারেও নিষ্পত্তি না করা গেলে, লিগ টেবলে মুম্বই নাইটদের উপরে থাকার জন্য তারাই ফাইনালে উঠে যাবে।
মুম্বইয়েরও ভোগান্তির পালা শুরু হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। রোহিত শর্মারা অনুশীলনে নামতেই শুরু হল সেই ঝড়-বৃষ্টি। ফলে রোহিতদের অনুশীলন না করেই ফিরে যেতে হল টিম হোটেলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সন্ধ্যায় অনুশীলনের জন্য যখন মাঠে, তখন নাইটরা টিম হোটেলের সুইমিং পুলে। গম্ভীর তখন হোটেলের লবিতে দলের বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজির সঙ্গে গভীর আলোচনায় মগ্ন ।
অধিনায়কের মতো তখন পুলে নামেননি উমেশ যাদবও। কলকাতার সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘আগের দিন যে চাপের মুখেও আমরা জিতেছি, তার পর আমরাই এই ম্যাচে এগিয়ে।’’ কিন্তু প্রকৃতি যদি বাধ সাধে? বিশ্রামও তো বেশ কমই পেলেন। ‘‘বৃষ্টি তো আর আমাদের হাতে নয়। তা ছাড়া তিন দিনে দুটো ম্যাচ তো আইপিএলে খেলতেই হয়। অভ্যাস হয়ে গিয়েছে,’’ বলেন উমেশ।
দেখা গেল চিন্নাস্বামীর মন্থর উইকেট নিয়েও খুব একটা চিন্তায় নেই নাইটদের বোলিং মেশিন। বললেন, ‘‘উইকেট যেমনই হোক, তার সঙ্গে যত দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, ততই ভাল। আমরা এখানে দুটো ম্যাচে খেলেছি। উইকেটটা অনেকটাই বোঝা হয়ে গিয়েছে। অসুবিধা হচ্ছে না।’’
বুধবার গভীর রাতে হোটেলে ফিরে যথারীতি কেক কাটা হয়েছে। শ্যাম্পেনের বোতলও খোলা হয়েছে। নাইটদের ওয়েবসাইটে সেই উল্লাসের ভিডিও-ও আপলোড করা হয়েছে। যাতে দলের সিইও বেঙ্কি মাইসোরকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আর আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’’
ভোর রাত পর্যন্ত পার্টি করে এ দিন সকালেই মুম্বই ফিরে যান শাহরুখ খান। বলে গিয়েছেন শুক্রবার ফের আসবেন। এতদিন তাঁকেই কেকেআর নিয়ে টুইট করতে দেখা গিয়েছে। এ দিন দেখা গেল গৌরী খানের টুইটারেও চলে এসেছে কেকেআর— ‘‘আর মাত্র দু’ধাপ! কাল পরবর্তী কেকেআর ম্যাচ। এখন শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে চলা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy