আইপিএলে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব। ওয়াংখেড়ের রোমহর্ষক ম্যাচে মুম্বইকে ৭ রানে হারিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল প্রীতি জিন্টার দল, নেপথ্যে বাংলার উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। ওপেনার ঋদ্ধির ৫৫ বলে ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করেই ঘরের মাঠে মুম্বই বধ করে পঞ্জাব।
রোহিতদের হারিয়ে তার এই অসামান্য ইনিংসের রহস্য ফাঁস করলেন বাংলার পাপালি।
চলতি মরশুমে দলের স্বার্থে মিডিল অর্ডারে নামা এই বঙ্গ তনয় লক্ষীবারে ম্যাচের আগে নিজেও জানতেন না গাপ্তিলের সঙ্গে ওপেন করতে হবে তাঁকে। আইপিএল টি-২০.কম-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ঋদ্ধি বলেন, “ম্যাচের আগে ওর্য়াম-আপের সময়ও আমার কাছে কোনও ধারণা ছিল না যে আমাকে আজ ওপেন করতে হবে। এটা টিম ম্যানেজম্যান্টের টপ সিক্রেট ছিল। ওর্য়াম-আপের পর ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় সহবাগ আমাকে জানান যে আজ আমি ওপেন করছি। সারা মরশুম মিডল অর্ডারে খেলে আসার ফলে আমার কাছে এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল।” নিজের রান পাওয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় টেস্ট দলের এই নির্ভরযোগ্য উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, “ বড় ইনিংসের আশা নিয়ে মাঠে নামিনি। মাঠে নেমে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলেছি, স্ট্রাইক রোটেট করেছি। আর এভাবেই রান পেয়েছি।
আরও পড়ুন...
কলকাতার চাপ বাড়িয়ে ঋদ্ধিই নায়ক মুম্বইয়ে
মুম্বইয়ের বিপক্ষে গাপ্তিল ও অধিনায়ক ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে দুটি ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করেন এই বঙ্গ তনয়। এই পার্টনারশিপ দু’টি পঞ্জাব ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। এর পর শর্ন মার্শের সঙ্গে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। পঞ্জাবের এই গোপন নীতি যে এত ভাল ভাবে কাজে আসবে তা হয়ত প্রত্যাশা করেনি পঞ্জাব টিম ম্যানেজমেন্টও।
প্রসঙ্গত, চলতি আইপিএলে ঋদ্ধির এটি প্রথম অর্ধ-শতরান।