গোল করার মুহূর্তে রয় কৃষ্ণ। ছবি: টুইটার থেকে
১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-র ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এটিকে মোহনবাগান। শনিবার ওডিশা এফসি-কে ৪-১ গোলে হারিয়ে তাই বেশ ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া গেল মোহনকোচ আন্তোনিয় লোপেজ হাবাসকে। প্রশংসা করলেন ম্যাচে ২ গোল করা মনবীর সিংহের। তবে গোল হজম করা নিয়ে কিছুটা বিরক্তও তিনি, আসলে জানেন লিগে গোল পার্থক্যও অনেক সময় বড় হয়ে ওঠে।
শনিবার ২ গোল করে এ বারের আইএসএলে নিজের নামের পাশে ৪ গোল লিখে ফেললেন মনবীর। হাবাস বলেন, “মনবীর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওর প্রতি আস্থা রয়েছে। পরের ম্যাচগুলোতে ওর থেকে আরও ধারাবাহিকতা আশা করব। মনবীরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন এটাই।” শনিবার ১১ মিনিটের মাথায় বক্সের বাঁ দিক থেকে মার্সেলিনহোর ক্রস থেকে পাওয়া বল, প্রণয় হালদার দেন বক্সের মাথায় থাকা রয় কৃষ্ণকে। বক্সের ডান দিকে থাকা মনবীরকে সেই বল বাড়িয়ে দেন তিনি। বাঁ পায়ে হাওয়ায় ভাসানো শটে গোলের বাঁ দিকের কোন দিয়ে তিনি বল ঢুকিয়ে দেন জালে।
৪-১ ব্যবধানে জিতলেও, ১ গোল খাওয়া নিয়ে খুশি নন হাবাস। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও দলের খেলা দেখে খুশি তিনি। হাবাস বলেন, “প্রথমার্ধে আমরা ২৫-৩০ মিনিট ভাল খেলার পরে বোধ হয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সেই সুযোগে ওডিশা সমতা এনে ফেলে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভাল খেলেছি এবং গোলও করেছি”।
দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর করেন ১ গোল এবং রয় কৃষ্ণ করেন দুটি গোল। মনবীর বলেন, “২ গোল করে দলকে জিতিয়ে, তিন পয়েন্ট এনে দিতে পেরে আমি খুবই খুশি। অনুশীলনে যথেষ্ট পরিশ্রম করছি, নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। সেটার প্রতিফলনই ম্যাচে দেখা গিয়েছে।”
লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের থেকে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। লিগ শীর্ষে ওঠা নিয়ে যদিও এখনই চিন্তা ভাবনা করতে রাজি নন হাবাস। তিনি বলেন, “প্রথম চারে থাকাটাই আসল ব্যাপার। আগে সেই জায়গাটা পাকা করি। তার পরে এক নম্বরে থাকা নিয়ে ভাবব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy