জয়ে ফিরতে মরিয়া বেঙ্গালুরু। চেন্নাইয়ান এ্রফসি-র কাছে আগের ম্যাচে হার নেহাৎই অঘটন। ঘরের মাঠ কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেই তা প্রমাণ করতে চাইছে বেঙ্গালুরু।
শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফসি-র কাছে ১-২ হেরে প্রথমবার আইএসএল তালিকায় শীর্ষস্থান হারাতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে। এই মুহূর্তে তিনটি দল শীর্ষে রয়েছে ১২ পয়েন্ট নিয়ে। বেঙ্গালুরু এফসি-র কোচ রোকার দাবি ঘুরে দাঁড়ানোর। বলেন, ‘‘ঘরের মাঠে আর পয়েন্ট হারানোর জায়গা নেই। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। শেষ ম্যাচে হারের পর জয়ে ফেরাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ফুটবলাররা জানে। এ বার ব্যাপারটা অন্যকম হবে, আশা করছি।’’
হারলেও ফুটবলারদের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে। চেন্নাইয়ান এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম একাদশে ছ’জনকে বদলেছিলেন তিনি। এই ম্যাচে সম্ভবত সবাইকেই ফিরিয়ে আনবেন। বলেন, ‘‘নিজেদের ফুটবলে আস্থা রয়েছে। কীভাবে খেলব তা নিয়ে আমাদের মনে অন্তত কোনও সন্দেহ নেই।’’ জামশেদপুরের রক্ষণ পেরিয়ে গোল করতে তাঁর দলের অবশ্যই ভরসা থাকবে সেট পিস।
আরও পড়ুন
গোলের খোঁজে নর্থ-ইস্ট, জিততে মরিয়া মুম্বই সিটি
পাঁচ ম্যাচে ছ’পয়েন্ট হাতে নিয়ে নামছে জামশেদপুর। এই মুহূর্তে তারা আছে ছ’নম্বরে। কিন্তু লিগে তাদের রক্ষণ সব স্ট্রাইকারদেরই চাপে রাখছে। মাত্র একটিই গোল খেয়েছে তারা। অবশ্য গোলও করেছে মাত্র একটিই। কোচ স্টিভ কোপেল জানেন, ঠিক রাস্তাতেই আছে দল। বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আমাদের চেষ্টা ছিল একটা শক্তিশালী ভিত তৈরি করার। রক্ষণ সুদৃঢ় করতে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। জানি, আক্রমণভাগে ততটা শক্তিশালী নয় আমার দল, উন্নতির জায়গা রয়েছে।’’
অনুশীলনে সুনীল ছেত্রী।
জামশেদপুর এফসি-র লক্ষ্য অবশ্যই তিন পয়েন্ট, যা তাদের তুলে নিয়ে যেতে পারে প্রথম পাঁচে। তবে, এক পয়েন্ট পেলেও অখুশি হবেন না কোপেল। কোপেল জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলা মানে বেশ কঠিন কাজ, কিন্তু চেন্নাইয়ান এফসি যা করতে পেরেছিল শেষ ম্যাচে তা থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়ে উদ্দীপ্ত শিবির এখন। বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু সবচেয়ে শক্তিশালী দল এ বারের আইএসএল-এ। আমাদের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। চেন্নাই এখানে এসে জিতে ফিরেছিল, আমরাও চেষ্টা করব একইভাবে জিততে।’’