Advertisement
E-Paper

ধোঁয়াশা রেখেই অনুশীলনের ডাক খালিদের

আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিজেই সুপার কাপে কোচিং করানো নিয়ে সংশয়ী মন্তব্য করেছিলেন খালিদ। বলে দিয়েছিলেন, ‘‘সুপার কাপ নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৫
খালিদ জামিল।—ফাইল চিত্র।

খালিদ জামিল।—ফাইল চিত্র।

খালিদ জামিল কি সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকছেন?

শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেই ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। খালিদ নিজে আজ, শনিবার সকাল ন’টায় অনুশীলন ডেকে দিয়েছেন। আর কর্তারা বলছেন, ‘‘খালিদ-কে বলব ফুটবলারদের কয়েক দিন বিশ্রাম দিয়ে সুপার কাপের সূচি জেনে অনুশীলন শুরুর দিন ঠিক করতে।’’

কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে সব কিছু ঠিক ঠাক মনে হলেও ডুডু ওমেগবেমিদের কোচকে নিয়ে ক্লাবে তুমুল আলোড়ন। তাঁকে রাখা বা না রাখা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে সেটা বোঝা যায় টিমের ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে। এ দিন ইস্টবেঙ্গলকে আঠারো বছর আগে আই লিগ দেওয়া কোচ বলে দিলেন, ‘‘আমি ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছি খালিদের ব্যাপারে যা করার ক্লাবই করুক। আমি হ্যাঁ বা না কিছুই বলব না।’’ ক্লাব কর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, কোচ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন মনোরঞ্জন। ক্লাব সূত্রের খবর, ম্যানেজারের বক্তব্য শোনার পর রাতে ক্লাব সচিবের সঙ্গে খালিদকে নিয়ে একপ্রস্থ কথা বলেন শীর্ষ কর্তারা। সোমবার ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সভা, সেখানেই চিত্রটা পরিষ্কার হতে পারে। সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল খেলবে কি না, সেই সিদ্ধান্তও এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে।

আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিজেই সুপার কাপে কোচিং করানো নিয়ে সংশয়ী মন্তব্য করেছিলেন খালিদ। বলে দিয়েছিলেন, ‘‘সুপার কাপ নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি।’’ ড্রেসিংরুমে কোচের আচরণেও অস্বাভাবিকতা দেখেছেন অনেক ফুটবলার। ক্লাব সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে টিম নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছিলেন খালিদ। ম্যানেজার মনোরঞ্জন, ক্লাবের ফুটবল সচিব-সহ শীর্ষ কর্তারা ক্লাবে ছিলেন। কিন্তু লাল-হলুদ কোচ আসেননি। রটে যায়, খালিদ পদত্যাগ করেছেন। সেটা অবশ্য হয়নি। উল্টে শনিবার অনুশীলন ডেকে দেন মহম্মদ আল আমনা-দের কোচ।

এদুয়ার্দো ফেরারি একের পর এক গোল হজম করার পরে মনোরঞ্জনকে রক্ষণ মজবুত করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন কর্তারা। মনোরঞ্জনকে অবশ্য কাজই করতে দেননি খালিদ। এ দিন বিরক্তির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে সে কথা বুঝিয়ে দেন প্রকাশ্যেই। মনোরঞ্জন বললেন, ‘‘কী হয়েছে সবাই দেখেছে। কাজ করলাম কোথায়? তবে এটা ঠিক আমাদের টিমের কোনও ধারাবাহিকতা ছিল না। দুটো-তিনটে ম্যাচ বাদে প্রতিপক্ষকে সারাক্ষণ চাপে রেখে খেলতেই পারেনি টিম। আমাদের দলের আরও ভাল ফল হওয়া
উচিত ছিল।’’

খালিদের থাকা না থাকা নিয়ে যখন চূড়ান্ত ডামাডোল, তখন মোহনবাগানের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ১৯ মার্চ থেকে সুপার কাপের জন্য অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ দিন কোঝিকোড় থেকে কলকাতায় ফিরে শঙ্করলাল বলে দেন, ‘‘মোহনবাগান তিন নম্বর হওয়ার জন্য খেলে না। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলে। কিন্তু যে অবস্থা থেকে আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইতে ফিরেছিলাম, সেটা
স্বস্তি দিয়েছে।’’

Football Khalid Jamil খালিদ জামিল East Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy