উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে বিশেষ ঘাম ঝরাতে হল না ইয়ানিক সিনারকে। পুরুষদের শীর্ষ বাছাই খেলোয়াড় স্ট্রেট সেটে হারালেন স্পেনের পেদ্রো মার্তিনেসকে। খেলার ফল ৬-১, ৬-৩, ৬-১। মেয়েদের শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালেঙ্কাও চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন। তিনি হারিয়েছেন এমা রাডুকানুকে। মেয়েদের সপ্তম বাছাই মিরা আন্দ্রিভাও জিতেছেন। তবে হেরে গিয়েছেন মহিলাদের বিভাগে গত বারের বিজয়ী বারবোরা ক্রেজিকোভা।
উইম্বলডনে এ দিন নজিরও গড়েছেন সিনার। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় মাত্র ১৭টি গেম হারিয়েছেন তিনি। চতুর্থ রাউন্ডে ওঠার পথে সবচেয়ে কম গেম হারানোর নজির স্পর্শ করেছেন সিনার। এত দিন একক ভাবে এই নজির ছিল ইয়ান কোডেসের। ১৯৭২ সালে এই নজির গড়েছিলেন। শুধু গেমই নয়, চতুর্থ রাউন্ডে ওঠার পথে সব সার্ভিস ধরে রেখেছেন সিনার। সার্ভিসে মোট ৩৭টি গেম পেয়েছেন তিনি।
মার্তিনেসকে খাতা খুলতে না দিয়ে প্রথম সেটেই ৫-০ এগিয়ে যান সিনার। এর পরে স্পেনের খেলোয়াড় মেডিক্যাল টাইম-আউট হন। কোর্টে চিকিৎসককে ডেকে ডান কাঁধের চিকিৎসা করান তিনি। সার্ভ করতে সমস্যা হচ্ছিল মার্তিনেসের। ১২৮ কিমি বেগেও সার্ভ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উল্টো দিকে সিনারকে রোখাই যাচ্ছিল না।
সব গ্র্যান্ড স্ল্যাম মিলিয়ে ১৭ বার চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন সিনার। ইটালীয় হিসাবে নজির গড়লেন। টপকে গেলেন নিকোলা পিয়েত্রাঞ্জেলিকে (১৬)। উইম্বলডন টানা চার বার চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন তিনি।
ম্যাচের পর সিনার বলেছেন, “উইম্বলডনের দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌঁছোতে পেরে ভাল লাগছে। আমরা সবাই দেখেছি কাঁধের সমস্যায় কতটা ভুগছিল মার্তিনেস। ভাল করে সার্ভ করতে পারছিল না। সার্ভ ভাল করে না করতে পারলে জেতা সহজ নয়। তবু পুরো ম্যাচ খেলার জন্য ওর প্রশংসা প্রাপ্য।”
উইম্বলডনে এ বার চর্চা হচ্ছে রাডুকানুর সঙ্গে কার্লোস আলকারাজ়ের ‘প্রেম’ নিয়ে। আলকারাজ় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলেও রাডুকানুর ছুটি হয়ে গেল। মেয়েদের শীর্ষ বাছাই সাবালেঙ্কার কাছে হারলেন তিনি। জিততে ঠিক দু’ঘণ্টা লাগল সাবালেঙ্কার।
দু’টি সেটেই সাবালেঙ্কাকে এক বার ব্রেক হতে হয়েছে। তবে রাডুকানু সেই সুবিধাও তুলতে পারেননি। প্রথম সেটের টাইব্রেকের সময় সাবালেঙ্কা একটি সেট পয়েন্টও বাঁচান। দ্বিতীয় সেটে সাবালেঙ্কা একটা সময় ৫-১ এগিয়ে থাকলেও তাঁকে ব্রেক করেন রাডুকানু। শেষ পর্যন্ত ৬-৪ জিততে হয় বেলারুশের খেলোয়াড়কে।
মেয়েদের বিভাগে উপরের দিকে থাকা সব বাছাই খেলোয়াড়ই ছিটকে গিয়েছেন। তাই প্রথম উইম্বলডন জয়ের জন্য সাবালেঙ্কার সামনে রাস্তা খুব একটা কঠিন নয়। যদিও সে সব নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বলেছেন, “আজ রাতটা উপভোগ করব। কাল থেকেই আমার নতুন লড়াই শুরু হয়ে যাবে।”
উইম্বলডনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন ১৮ বছরের খেলোয়াড় মিরা। তিনি আমেরিকার হ্যালি ব্যাপটিস্টকে হারিয়েছেন ৬-১, ৬-৩ গেমে। মহিলাদের প্রথম দশ বাছাই খেলোয়াড়ের মধ্যে সাবালেঙ্কা এবং আন্দ্রিভাই এখনও পর্যন্ত টিকে আছেন। পাঁচ বার ব্যাপটিস্টের সার্ভ ভেঙে এক ঘণ্টা ১৮ মিনিটে ম্যাচ জিতে নেন আন্দ্রিভা।
আরও পড়ুন:
মহিলাদের ১১তম বাছাই এলিনা রিবাকিনা বিদায় নিয়েছেন। ২৩তম বাছাই ক্লারা টসনের কাছে ৬-৭, ৩-৬ গেমে হেরেছেন তিনি। বেলিন্ডা বেনচিচ ৬-৪, ৩-৬, ৭-৬ হারিয়েছেন এলিসাবেত্তা কোচ্চিয়ারেত্তোকে।
দিনের আর একটি অঘটন ক্রেজিকোভার ছিটকে যাওয়া। তিনি উইম্বলডনে ১৭তম বাছাই ছিলেন। দশম বাছাই এমা নাভারোর কাছে হেরেছেন ৬-২, ৩-৬, ৪-৬ গেমে।