Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রুটের নিষ্ঠুর শাসনে ম্লান তামিমের সেঞ্চুরি

ঠান্ডা মাথায় ক্রিজে টিকে থেকে ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা সুকৌশলে যে ভাবে ৪৬.৩ ওভারেই জয়ে পৌঁছে দিলেন দলকে।

দাপট: সেঞ্চুরি দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু জো রুটের। ছবি: গেটি ইমেজেস

দাপট: সেঞ্চুরি দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু জো রুটের। ছবি: গেটি ইমেজেস

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৫:১৩
Share: Save:

দু’দিন আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে হারের ধাক্কা সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৫-৬ তুলে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়া, তাও আবার তাদেরই মাঠে, মোটেই সোজা কাজ নয়। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ক্রিজে টিকে থেকে ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা সুকৌশলে যে ভাবে ৪৬.৩ ওভারেই জয়ে পৌঁছে দিলেন দলকে। তার পর ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট বলতে বোধহয় এখন আরওই দ্বিধা করবেন না বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার ওভালে তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরি (১২৮) ও তাঁর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের (৭৯) ১৬৬ রানের পার্টনারশিপের পাল্টা দিলেন জো রুট (১৩৩) ও অ্যালেক্স হেলস (৯৫)। আর তাঁদের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ। আরও একটা পার্টনারশিপ গড়লেন রুট ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (৭৫)। ১৪৩-এর এই পার্টনারশিপই ইংল্যান্ডকে আট উইকেটে জয় এনে দেয়। ওভালের ব্যাটিং স্বর্গে সারা দিনে উঠল ছ’শোরও বেশি রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে আসা ব্যাটসম্যানরা এই ম্যাচের স্কোর দেখে নিশ্চয়ই স্বস্তি পেলেন কিছুটা, তাঁদের জন্যও এখানকার উইকেটে কিছু আছে, এই ভেবে। ভারতের বিরুদ্ধে একশোরও কম রানে অল আউট হওয়ার দু’দিন পরই বাংলাদেশের এই ঘুরে দাঁড়ানো অবশ্য প্রশংসাই দাবি করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন সাড়াও ফেলে দেয় তামিম-মুশফিকুরদের এই উদ্যম। কিন্তু এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত দাম পেল না। বাংলাদেশের লড়াইয়ে ফেরাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে অবশ্য। দলের ৩০৫ রানের মধ্যে ২০৭ রানই আসে তামিমদের ব্যাট থেকে।

আরও পড়ুন: বীরুর আবেদনে নাটকীয় মোড় কোচ কাজিয়ায়

এর মধ্যেই আবার ইংল্যান্ডের প্রধান স্ট্রাইক বোলার ক্রিস ওকস দু’ওভার বল করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। জানা যায় সাইড স্ট্রেন হয়েছে সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা এই তারকা পেসারের। পরের ম্যাচেও তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিল এ দিন। বেরোবার আগে আবার মাঠেই তামিমের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও লেগে যায়। স্টোকসের স্লেজিংয়ে মেজাজ হারাতেও দেখা যায় তামিমকে। চার দিন আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। তার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও চার ম্যাচে ১৯৯ রান করেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখলেন এই ম্যাচেও।

ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরাও শুরু থেকে সেটাই করে দেখালেন। তাঁরা যেন পুরো ইনিংসটাকে ছকে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তাড়াহুড়ো না করে ওভার প্রতি ছ’রানের প্রয়োজনীয় গড়েই রান তুলে ম্যাচ জিতে নেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE