ইন্টার মিলান ২ • জুভেন্তাস ৩
দুই দলের দুই ফুটবলারের আত্মঘাতী গোল। ইন্টার মিলান মাঝমাঠের ফুটবলার মাতিয়াস ভাসিনোর লাল কার্ড দেখে ম্যাচের শুরুতেই বেরিয়ে যাওয়া। ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারের ২-১ এগিয়ে থাকা। সব দেখে মনে হচ্ছিল, জুভেন্তাসকে পিছনে ফেলে ১৯৯০ সালের পরে নাপোলির সেরি আ খেতাব জয়ের পথ মসৃণ হচ্ছে।
কিন্তু তার পরেই শেষ চার মিনিটে দুই মিনিটে দু’গোল করে ম্যাচ জিতল জুভেন্তাস। ম্যাচ শেষে জুভেন্তাস ম্যানেজার ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি বলে গেলেন, ‘‘কোনও দল নয়। এই ম্যাচে জিতেছে ফুটবল। কারণ, দু’দলই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছে জিতে ফেরার।’’
৮৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে জুভেন্তাসকে ২-২ করতে সাহায্য করেন ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার মিলান স্ক্রিনিয়ার। তার দু’মিনিট পরেই হেডে জুভেন্তাসের হয়ে জয়সূচক গোল করেন গঞ্জালো হিগুয়াইন।
নাটকীয় এই ম্যাচের শুরুতেই ১৩ মিনিটে ডগলাস কোস্তার গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্তাস। প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে ইন্টার। ৫২ মিনিটে ইন্তারের আর্জেন্তিনীয় ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দি ১-১ করেন। কিন্তু এর পরেই জুভেন্তাস রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ আন্দ্রেয়া বারজাগলি আত্মঘাতী গোল করে ২-১ এগিয়ে যেতে সুবিধা করে দেন ইন্টারকে। শেষ পর্যন্ত হাসি মুখে মাঠ ছাড়েন জুভেন্তাস সমর্থকরাই।
এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচের পরে জুভেন্তাসের পয়েন্ট দাঁড়াল ৮৮। সেরি আ শীর্ষেই রইল জানলুইজি বুফনের দল। দ্বিতীয় স্থানে রইল নাপোলি। ৭১৬ মিনিট পরে গোল করা হিগুয়াইন বলছেন, ‘‘নাপোলির কাছে শেষ মুহূর্তে হারের জ্বালা মিটল দলকে জিতিয়ে। জয় না পেলে লিগের দৌড় থেকে ছিটতে যেতে পারতাম।’’