লাল-হলুদ শিবিরে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কিন্তু কাতসুমি ইউসা জানিয়ে দিলেন আগামী মরসুমেও ইস্টবেঙ্গলে থাকতে চান। বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনের পরে কাতসুমি বললেন, ‘‘আমার প্রথম পছন্দ ইস্টবেঙ্গল। তবে থাকব কি না সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে ক্লাবকর্তাদের উপর।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘৩১ মে পর্যন্ত এই ক্লাবের সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। তা ছাড়া সামনেই সুপার কাপ। তাই কোনও ক্লাবের সঙ্গেই কথা বলব না।’’
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার জন্য কোচ খালিদ জামিলের রক্ষণাত্মক রণনীতিকেই দায়ী করেছিলেন প্রাক্তন তারকারা। কিন্তু সুপার কাপে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) সুভাষ ভৌমিকের অস্ত্র যে আক্রমণাত্মক ফুটবল, জানিয়ে দিলেন জাপানি তারকা। কাতসুমির কথায়, ‘‘আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে চান কোচ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন রণনীতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। আমরা সকলেই পেশাদার। আশা করছি, সমস্যা হব না।’’
বুধবার অনুশীলনে নেমে পড়লেন আর এক তারকা ডুডু ওমাগবেমি-ও। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ফিনল্যান্ড ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। অনুশীলন ম্যাচে এদিন ডুডু-কে সামনে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন আসিয়ানজয়ী কোচ। মাঝমাঠে মহম্মদ আল আমনা, কাতসুমি ইউসা, খালিদ আউচো ও আনসুমানা ক্রোমা।
তবে লাল-হলুদ অন্দরমহলে সুভাষ বনাম খালিদ দূরত্ব কমেও যেন কমছে না। এ দিন সকালে ফের কোচকে ছাড়াই ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের নিয়ে টিম মিটিং করেন টিডি। অনুশীলন ম্যাচ গোলশূন্য শেষ হওয়ার পরে খালিদ চেয়েছিলেন, অতিরিক্ত সময় খেলাতে। কিন্তু সুভাষ রাজি হননি। তাঁর যুক্তি, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়বেন ফুটবলাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy