দলের ব্যাটসম্যানদের নির্দেশ কোচ ফ্লেমিংয়ের। শুক্রবার রাইজিং পুণের প্র্যাকটিসে। ছবি: পিটিআই।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এ বার নবম বার হলেও আমরা, মানে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের জন্য এটা প্রথম মরসুম। স্বীকার করছি লিগে নতুন দল হিসেবে ফিরে আসার ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত লাগছে। তবে সঙ্গে এটাও ঠিক, ক্লিন স্লেট নিয়ে শুরু করার একটা প্রবল উত্তেজনাও রয়েছে। তাও টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা প্লেয়ারদের নিয়ে।
সবাই হয়তো এটা ভাবছে যে প্রথম ম্যাচেই গত বারের চ্যাম্পিয়নদের তাদেরই ঘরের মাঠে মুখোমুখি পড়াটা আমাদের জন্য কত বড় চ্যালেঞ্জের। তবে কেউ হয়তো এটা ভেবে দেখেননি আমাদের উপর প্রত্যাশার চাপ নেই। তাই আমাদের চমকে দেওয়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি।
কেউ যদি আমায় দেখাতে চান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং লাইন আপ কী রকম শক্তিশালী, আমি পাল্টা আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ দেখিয়ে দেব। টুর্নামেন্টের অন্য সেরা লাইন আপের মতো আমাদের ব্যাটিংও কম ধ্বংসাত্মক নয়। তার উপর ভুললে চলবে না আমাদের দলে তিনজন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন রয়েছে— ফাফ দু’প্লেসি, স্টিভন স্মিথ আর এমএস ধোনি। স্ট্র্যাটেজি গড়ার দিক থেকে যা আমাদের এতটাই প্রাচুর্য জোগাচ্ছে যে অন্য দলগুলোর পক্ষে তার পাল্লা দেওয়া সোজা হবে না।
আমরা এটাও জানি এই সময়ে ভারতের অনেক পিচেই দু’ধরনের গতি থাকে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যার মোকাবিলা করতে তৈরি। আমাদের বোলাররা আবার একটু ধীর গতির পিচের সঙ্গে মানাতে দক্ষ। তবে যে কোনও পিচে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও আছে।
এই টিমের সঙ্গে একটা সুনামও জড়িয়ে রয়েছে সেটা না বললে অন্যায় হবে। টিমের অনেকে চেন্নাই সুপার কিংগসেও ছিল। তাই ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়ার ব্যাপারটাও অনেক বেশি। নতুন প্লেয়ারদের মধ্যেও অনেকেই আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। তাই ভারতীয় পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটাও জানে।
সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, আমাদের দলটা দুরন্ত, শক্তিশালী, আর সবাইকে ভুল প্রমাণ করার ক্ষমতা রাখে। সবচেয়ে বড় কথা, আমার মনে হয় দলে পাওয়ার হিটার আর স্মার্ট স্কোরারদের একটা দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। তার সঙ্গে দুর্ধর্ষ স্ট্রাইক রেট, বিদ্যুৎ গতির ফিল্ডার আর স্পিনার আর পেসার থাকায় আমাদের নির্দিষ্ট কোনও এক সেট প্লেয়ারের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। তাই ম্যাচটা শুরু হওয়ার তর সইছে না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy