জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কিরণ মোরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পৃথ্বীর। ফাইল ছবি।
পৃথ্বী শ সদ্য রঞ্জি ট্রফি মরসুমের শুরুতেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর সেই ইনিংস দেখে তাঁকে অবিলম্বে জাতীয় দলে ফেরত আনা উচিত বলে মনে করছেন প্রাক্তন উইকেটকিপার কিরণ মোরে।
ডোপিংয়ের দায়ে আট মাস নির্বাসিত ছিলেন পৃথ্বী। নির্বাসনের মেয়াদ কাটিয়ে সদ্য ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর ফিরেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নজর কেড়েছেন। তার পর বদোদরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ২০ বছর বয়সি কিছুদিন আগেই জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এ বার থেকে পৃথ্বী ২.০-কে দেখা যাবে। বোঝাই যাচ্ছে, নষ্ট হওয়া সময়ের যন্ত্রণাই রানের খিদে বাড়িয়েছে তাঁর।
বদোদরার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৬৬ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২০২ রান করেছেন পৃথ্বী। যা মুম্বইয়ের ৩০৯ রানে জেতার রাস্তা গড়ে দিয়েছিল। এই ইনিংসের পরই কিরণ মোরে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। নির্বাচকমণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মতে, “পৃথ্বীকে দেখলেই তরুণ সচিন তেন্ডুলকরের কথা মাথায় আসে। নির্ভীক ব্যাটিংয়ের এই ব্র্যান্ডে দু’জনের মিল রয়েছে। ওকে ব্যাট করতে দেখলেই বোঝা যায় যে এগিয়ে ভাবছে। এই ভাবেই সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা, বীরেন্দ্র সহবাগের মতো গ্রেটরা ব্যাটিং করতেন। ওঁরা বলের লাইন খুব দ্রুত ধরে ফেলতেন। আর বলকে মারার জায়গায় পৌঁছে যেতেন।”
মুম্বইকরের টেকনিক নিয়েও মোরে উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, “পৃথ্বীর টেকনিক খুব উন্নত। ও একদম তৈরি এখন। নয়ের দশকের বোলিং গ্রেটদের মুখোমুখি হওয়ার মতো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান দেখাচ্ছে ওকে। পৃথ্বীর কাছে পিচ যেন কোনও ব্যাপারই নয়। এমনকী, বদোদরার বিরুদ্ধেও যতক্ষণ ব্যাট করছিল, পিচ সহজ মনে হচ্ছিল। মাঠের বাইরের কিছু ঘটনায় সমস্যা হয়েছে ঠিকই, তবে শুধু ক্রিকেট নিয়ে কথা বললে ও বড্ড ভাল। এখনই জাতীয় দলে আসা উচিত ওর। ও বিরল প্রজাতির ব্যাটসম্যান।”
সদ্য রঞ্জি ট্রফিতে ২০২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে নজর কেড়েছেন পৃথ্বী। ফাইল ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy