এশিয়ান গেমসে দু’ম্যাচে সাত গোল খাওয়ার জের জাতীয় দলে কোচের পদ যাচ্ছে উইম কোভারম্যান্সের। ৩১ অক্টোবর ডাচ কোচের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফেডারেশন সূত্রের খবর, কোভারম্যান্সের চুক্তি আর পুনর্নবীকরণ হচ্ছে না।
তবে হেড কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে না পারলেও, কোভারম্যান্সকে সম্ভবত একেবারেই ছেঁটে ফেলতে চাইছে না ফেডারেশন। তাঁকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করা হচ্ছে বলে খবর। ডিসেম্বরের পর রব বান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে থাকতে চাইছেন না। ইতিমধ্যেই ফেডারেশনকে তা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন, “রব বান ডিসেম্বরের পর টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদে থাকতে চাইছেন না। তবে ডাকলে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য সাহায্য করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।”
২০১২ সালে সুনীল ছেত্রীদের কোচ হয়ে এসেছিলেন কোভারম্যান্স। তাঁর কোচিংয়ে ওই বছরই দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নেহরু কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু তার পর আর কোনও বড় সাফল্য নেই ডাচ কোচের। একমাত্র কাঠমান্ডুতে ২০১৩-য় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কোচিংয়ে রানার্স হয়েছিল ভারত। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফোনে ফেডারেশন সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বললেন, “৩১ অক্টোবর কোভারম্যান্সের চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবে তিনি হেড কোচের পদে থাকবেন, না কি তাঁকে ভারতীয় ফুটবলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি।”
এশিয়াডের প্রস্তুতি ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের কাছে হারের পর কেন্দ্রীয় সরকার সুনীলদের ইনচিওনে পাঠাতে রাজি ছিল না। ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল পটেল উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন দল পাঠাতে। যার ফলে এশিয়াডে খেলার সুযোগ পান সুনীল-রবিনরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে সুনীল ছেত্রীদের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর কোভারম্যান্সের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। প্যালেস্তাইনের সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ম্যাচে অবশ্য সুনীলদের কোচ থাকছেন কোভারম্যান্সই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy