একজন অবিশ্বাস্য প্লেয়ারের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স!
এ ভাবেই বোধহয় সম্ভব রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিরাট কোহালির ইনিংসের ব্যাখ্যা। বিশ্বকাপে নক আউটে দাঁড়িয়ে যাওয়া একটা ম্যাচ ভারত যে ভাবে জিতল তার জন্য গোটা দেশের গর্বিত হওয়া উচিত। আর তার চেয়েও বেশি গর্ববোধ করা উচিত প্রচণ্ডতম চাপের মধ্যে বিরাট যে ভাবে ব্যাট করল তার জন্য।
গ্রেট প্লেয়ার— চ্যাম্পিয়ন— এ ধরনের প্রেশার কুকার পরিস্থিতিতেই গড়ে ওঠে। আর বিরাট আরও এক বার দেখাল কেন ও বাকিদের চেয়ে উপরে। অনেক এগিয়ে।
সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটবিশ্বকে বিরাট দেখিয়ে দিয়েছে যখন প্রত্যেকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে কপিবুক শটের বাইরে খেলার পক্ষে ওকালতি করে থাকে, তখন ও-ই একজন যে, কেতাবি থেকেও শুধু সফলই নয় বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। এক বার নয়, বারবার। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে বিরাট ওর ব্যাটিংকে একটা অবিশ্বাস্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। আমি সত্যিই এর চেয়ে বেশি ওর ব্যাটিং নিয়ে লিখতে চাইছি না। যেহেতু ব্যাপারটার শেষ বলে কিছু নেই। আর আমরা ভারতীয়রা একটা হিন্দি প্রবাদে বিশ্বাস করি— ‘নজর না লগ জায়ে’। ভারতকে এখনও সেমিফাইনাল এবং আশা করি ফাইনাল খেলতে হবে। ওই দু’টো মহাম্যাচেও দেশের দরকার দুর্ধর্ষ বিরাটকে।
ইন্ডিয়ারও প্রচুর প্রশংসা প্রাপ্য যে ভাবে পাঁচ ওভারের মাথা থেকে ওরা ম্যাচটাকে ঘোরাল তার জন্য। আমি ভেবেছিলাম অস্ট্রেলিয়া যেমন শুরু করেছিল তাতে ওরা দু’শো করবেই। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় ভারতীয় স্পিনারদের চমকপ্রদ বোলিং রানটাকে মোটামুটি ধরাছোঁয়ার ভেতর রেখে দেয়। বিশেষ করে যুবরাজের স্পেলটা। ফিরে আসার পর বিশ্বকাপে প্রথম বার বল করা, সেটাও একটা নক আউট ম্যাচে— আদৌ সহজ কাজ নয়। যুবরাজের স্টিভ স্মিথের উইকেটটা তোলা আর অস্ট্রেলিয়ার মি়ডল অর্ডারকে আটকে রাখা ওদের টোটালকে ধরাছোঁয়ার মধ্যে বাঁধতে প্রচুর সাহায্য করেছে ভারতকে।
মোহালির পারফরম্যান্সে আমাদের অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা নিয়ে বলছি, ভারতের জন্য আরও বড় ম্যাচ মুম্বইয়ে শুরু হতে চলেছে। আর এ বার আমাদের বাকি ব্যাটসম্যানদেরও ব্যাটে আগুন ঝরানোর সময় এসেছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy