বিশ্রাম সব সময়ই উপকারী। ভারতের মতো বিরাট আর বৈচিত্রময় দেশে কখনও কখনও সফর করাটা কঠিন হয়ে ওঠে। তার থেকেও বেশি কঠিন হয়ে যায় ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া।
এটাই আবার ভারতের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। আইএসএলেরও। এক একটা টিমের এক এক রকমের ঘরের মাঠের সুবিধে রয়েছে। পরিবেশের ফারাকটাও তাই অনেক বেশি।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে পুণে সিটি এফসির বিরুদ্ধে আজ নামার আগে আট দিনের বিশ্রাম আমাদের তরতাজা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। অন্তরঙ্গতা আর পরস্পরের প্রতি আস্থার ব্যাপারটা আমাদের টিমে বরাবরই দারুণ জায়গায় থাকে। আর মাঠেও এটা আমাদের এগিয়ে যেতে আর পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
তবে এ ধরনের বিশ্রামগুলো কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তার উপরও কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা সব সময়ই টিমকে এক জোট করার ব্যপারে জোর দিয়েছি। কোনও একটা সমস্যার সমাধানে ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে আসার চেয়ে দলগত ভাবে চেষ্টা করাটা অনেক বেশি ভাল।
অনেকে মনে করতে পারেন পুণের বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আটলেটিকো দে কলকাতা এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সত্যি বলছি আমার কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে না। পরিস্থিতি কিন্তু এতটা সোজা নয়। আমার তো মনে হয় এই ম্যাচে পুণে এফসি-ই ফেভারিট।
ওরা ঘরের মাঠে নামার সুবিধে পাচ্ছে। পরিবেশটাও ওদের চেনা। এর আগে কখনও আমি বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে যাইনি, তাই ওখানকার পরিবেশ নিয়ে বা কিক অফের পর মাঠের চেহারা কেমন হয় সে নিয়ে আমার আগাম কিছু বলাটা ঠিক হবে না। তার উপর পুণের কাছে ঘরের মাঠে খেলায় সমর্থনের সুবিধে তো থাকছেই।
তাই লড়াইটা মোটেই আমাদের জন্য সোজা হবে না। দল হিসেবে মাঠে আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। যেটা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এখনও আমি ম্যাচের প্রথম একাদশ ঠিক করিনি। ডেঞ্জিল (ফ্রাঙ্কো), কেভিন (লোবো) ছাড়া বাকি সবাই ম্যাচের শুরু থেকে নামতে প্রস্তুত। জিততে গেলে কিন্তু আমাদের দারুণ খেলতে হবে। আমাদের টিমের আর একটা বড় শক্তি প্রতিআক্রমণ। আশা করছি সব পরিকল্পনা মতোই হবে।
আরও একটা কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় আইএসএল কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করছে। এই পেশাদার পরিকাঠামো আর উন্নত মানের লড়াই ভারতীয় ফুটবলকে ভবিষ্যতে সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy