দুই প্রধানকে আইএসএলে খেলাতে মরিয়া সংগঠকরা। আবার এই মরসুমেই খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানও পা বাড়িয়ে ফেলেছে অনেকটাই। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই আটকে গিয়েছে, রিল্যায়ান্স কর্তৃপক্ষের ফুটবল অজ্ঞতা এবং ভুল ভাবনার জন্য।
টুনার্মেন্টে খেলা অন্য সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের সঙ্গে শতাব্দী ছুঁতে যাওয়া লাল-হলুদ বা সোয়া শতাব্দী পেরোনো সবুজ-মেরুনের সংগঠন এবং কোটি সমর্থকের আবেগের যে কোনও মিল নেই সেটাই তারা বুঝতে পারছেন না। আর যেটা দুই প্রধানের পক্ষে মানা সম্ভব নয় সেটা চাপাতে গিয়েই সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। পেকেও পাকছে না সবকিছু।
টিম মালিকরা ইচ্ছে করলেই আতলেতিকো দে কলকাতা, এফ সি গোয়া বা চেন্নাইয়ান এফ সি তাদের লোগো বদলে ফেলতে পারে রাতারাতি। বদলাতে পারে জার্সির রং। কিন্তু মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে তা কোনওমতেই সম্ভব নয়। আর সে জন্যই দু’পা এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ধীরে চলো নীতি নিলেন দুই প্রধানের কর্তারা। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলার ফুটবলের যে হাই প্রোফাইল সভা হল মধ্য কলকাতার অভিজাত ক্লাবে তাঁর নির্যাস হল, আইএসএল কর্তৃপক্ষ বনাম দুই প্রধানের স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হল খসড়া প্রস্তাব নিয়ে। কে কতটা এগোবে, কে কতটা পিছোবে—তা নিয়ে চাপানউতোর চলবে এখন। অন্তত শিলিগুড়ির আই লিগের ফিরতি ডার্বির (৯ এপ্রিল) আগে কিছু হওয়ার সম্ভবনা নেই। আলোচনা চলতে পারে, তবে সিদ্ধান্ত হবে না।
এমনিতেই দুই প্রধানেই এ বার নির্বাচনী বছর। ফলে আইএসএলের খসড়া প্রস্তাবে যা আছে তা কোনও অবস্থাতেই মানতে নারাজ কর্তারা। সে জন্যই সভার পর মোহনবাগান প্রেসিডেন্ট টুটু বসু বলে দিলেন, ‘‘গত তিন বছর আমাদের কোনও স্পনসর নেই। আমরা স্পনসর খুঁজছি। কিন্তু তা বলে ক্লাবের লোগো, জার্সির রং বা ক্লাবের নাম বদল করে কিছু হবে না।’’ আর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের মন্তব্য, ‘‘আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। কেউ এলে আলোচনা হতেই পারে। ইস্টবেঙ্গল সদস্য-সমর্থকদের ক্লাব। তারা যা চাইবেন সেটাই হবে।’’ এ দিনের সভা ডেকেছিল আইএফএ। কিন্তু সেখানে শুধুই আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy