এই ঘটনার জেরেই শাস্তি ইস্টবেঙ্গলের।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে কালীঘাট এমএস-এর বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। রেফারিকে হেনস্থা করার অভিযোগে এক ম্যাচ করে নির্বাসন ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা হল লালরিনডিকা রালতে এবং মেহতাব সিংহের। তবে খাইমে সান্তোস কোলাদোকে শুধুই সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও এক বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক কোচ এবং ম্যানেজার।
গত সোমবার ইস্টবেঙ্গল বনাম পিয়ারলেস ম্যাচকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ময়দান। হারের পরে রেফারি দীপু রায়কে ঘিরে ধরেছিলেন লাল-হলুদের ফুটবলারেরা। টিভিতে দেখা গিয়েছে, রেফারিকে শারীরিক ভাবেও নিগ্রহ করেছেন ডিকারা। বুধবার দুপুরে রিপোর্ট জমা দেন রেফারি। সন্ধ্যায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্তদেরও। ছিলেন রেফারি, ম্যাচ কমিশনারও। ডিকা এবং মেহতাবকে নির্বাসিত ও জরিমানা করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জরিমানা না দিলে নির্বাসন বাড়িয়ে এক বছর করা হবে।
রেফারি নিগ্রহের জন্য ফুটবলারদের কড়া শাস্তি দেওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে বিশ্বে। গত বছর আয়ারল্যান্ডর ক্লাব মাউলিঙ্গার টাউনের তিন ফুটবলার ৪০ বছরের জন্য নির্বাসিত হন! জরিমানা করা হয় ক্লাবকেও। কলকাতা ফুটবলে ছবিটা আলাদা কেন? আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘ডিকা ও মেহতাব ক্ষমা চেয়েছে। তা ছাড়া আমরা ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে নিতে চাই না।’’ বছরখানেক আগে রেফারিকে নিগ্রহ করায় আইএফএ দু’বছর নির্বাসিত করেছিল এক ফুটবলারকে। একই কারণে ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে ছ’ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন চেলসির দিদিয়ে দ্রোগবা।
ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব বলেই কি ছোট শাস্তি দেওয়া হল দুই ফুটবলারকে? ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ফিফা রেফারি সাগর সেন বললেন, ‘‘রেফারির গায়ে হাত দেওয়া অমার্জনীয় অপরাধ। প্রতিযোগিতা থেকেই ওদের নির্বাসিত করা উচিত ছিল। ফিফার নিয়মে সরাসরি লাল কার্ড দেখলে সাধারণত দু’ম্যাচ নির্বাসিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি বাড়তে পারে। আমাদের এখানে সবই আলাদা।’’
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ: ইস্টবেঙ্গল বনাম কালীঘাট এমএস (ইস্টবেঙ্গল, দুপুর ২.৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy