মহানদীর তীরে বেজে গেল ডার্বির দামামা। কলকাতা লিগ, আই লিগের পর এ বার ফেড কাপেও মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। শুক্রবার গ্রুপ বি-এর নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি এবং মোহনবাগান। এ দিনের ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার হলেও দু’দলই এই ম্যাচে সে রকম পরিবর্তন আনেনি। জেতার লক্ষেই ঝাঁপিয়েছিলেন দুই কোচ। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু সময় বাদ দিলে, এ দিনের ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই ছিল সবুজ-মেরুনের দখলে। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মোহন ফুটবলারদের মানসিকতা। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেয় অলউইন জর্জ। ব্যস এখানেই সব জারিজুরি শেষ বেঙ্গালুরু এফসির। গোল করে ম্যাচেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার বদলে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাত থেকে হারাতে থাকে গার্ডেন সিটির দলটি।
প্রথমার্ধের পুরোটাই দাপটের সঙ্গে খেললেও প্রত্যাশিত গোলটি তুলে নিতে ব্যার্থ হয় শেহনাজ-জেজেরা। তবে প্রথমার্ধের খেলায় সোনি-রাজুরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে প্রিয় দলের গোল দেখতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না মোহন সমর্থকদের। প্রত্যাশা মতোই ম্যাচের ৫০ মিনিটে হাইতিয়ান তারকা সোনি নর্ডের গোলে সমতায় ফেরে বাগান। কিন লুইসের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শর্টে গোল করে দলকে সমতা সূচক গোলটি এনে দেন বাগান সমর্থকদের নয়নের মণি। চলতি ফেড কাপে সোনার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সোনি। আক্রমণ থেকে রক্ষণ, যেখানেই বল সেখানেই সোনি। সোনির এই সোনার ফর্মই মরসুম শেষে ফেডারেশন কাপ ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে গঙ্গা তীরের ক্লাবটিকে এবং অসংখ্য সবুজ-মেরুন সমর্থককে। এর পর ম্যাচে বহু সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাগান আক্রমণভাগের প্লেয়াররা।
তবে সবের মধ্যেও ধ্রুব তারার মত উজ্জ্বল হয়ে ফ্যাকাসে ঐতিহ্যশালী ফেডারেশন কাপ-কে আলোকিত করে দিল রবিবাসরীয় ডার্বি। হাতে দু’দিন সময় এর মধ্যেই ফুটবলের এই মহাযজ্ঞে অংশ নিতে তৈরি হচ্ছে কটক। কটকের সঙ্গে তাল মেলাতে কলকাতা-সহ গোটা দেশ থেকে কটকে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী মানুষ। অকাল দীপাবলি-দোলযাত্রার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে কটকের বরাবাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy