প্যালেস্তাইন ৩ (আসরাফ, রিদত, খাদের)
ভারত ২ (সুনীল, ফ্রান্সিস)
শেষ ম্যাচেও হার। হতাশায় ভারতীয় ফুটবলকে বিদায়।
চুক্তি শেষ হওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন উইম কোভারম্যান্স। তাঁর চুক্তি ছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। টানা হারে বিধ্বস্ত সুনীল ছেত্রীদের কোচ হিসেবে অন্য কাউকে আনতে চাইছিল ফেডারেশন। পাশাপাশি ফেডারেশন ঠিক করেছিল তাঁকে রব বানের জায়গায় টিডি করে রেখে দেওয়া হবে। কিন্তু এশিয়াডের ব্যর্থতার পর সোমবার প্যালেস্তাইনের কাছে প্রদর্শনী ম্যাচেও পর্যুূদস্ত হয়ে উইম বলেই দিলেন, “আর আমি ভারতে থাকতে চাই না। ব্যক্তিগত কারণে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরও হতে পারব না।”
এ দিন শিলিগুড়িতে কোভারম্যান্সের কোচিংয়ে শেষ ম্যাচ ছিল সুনীল ছেত্রীদের! তবে জিতে কোচকে আর ফেয়ারওয়েল উপহার দেওয়া হল না রবিন সিংহ, মেহতাব হোসেন, সুব্রত পালদের। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই গোল খেয়ে যায় ভারত। আসরাফের গোলে প্যালেস্তাইন এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য সুনীল এবং ফ্রান্সিস বিরতির আগেই ২-১ করে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতকে আর সুযোগ দেননি যুদ্ধবিধস্ত দেশের ফুটবলাররা। উল্টে রিদ আহমেদ এবং খাদের আবুহাম্মাদের গোলে ৩-২ ম্যাচ জিতে যায় প্যালেস্তাইন।
জয় না পেয়ে মুষড়ে পড়েন ভারতের ফুটবলাররাও। ভারত অধিনায়ক সুনীল ম্যাচের পর বলেন, “কোভারম্যান্সের যেমন ফুটবল সম্পর্কে অনেক জ্ঞান ছিল, তেমনই টিম নিয়ে খুব পরিশ্রম করতেন তিনি। যেটা খুব কম কোচের মধ্যে দেখা যায়। কোভারম্যান্স আর আমাদের কোচ থাকছেন না, এটা আমাদের কাছে খুব বড় আঘাত।” সুব্রত পালও কোভারম্যান্সের বিদায়ের খবর পেয়ে অবাক। ম্যাচের পর জাতীয় দলের কিপার বলছিলেন, “২০১২ থেকে উইম স্যারের কোচিংয়ে খেলছি। ওঁর কোচিংয়ে প্রতি মুহূর্তে অনেক কিছু শিখেছি। ভারতের কিপার হিসেবে আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য উইম স্যারকে ধন্যবাদ।” মেহতাব আবার বলেন, “উইম স্যার নিজের মতো ফুটবলারদের মধ্যেও নিয়মানুবর্তিতা এনেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ওঁর কোচিংয়ে আমরা সে ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারিনি। ওঁকে খুব মিস করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy