Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কোমানেচির শংসা পাওয়া যুগলের পাশে লক্ষ্মীরতন

 দায়িত্ব: এই দুই খুদে স্কুল পড়ুয়ার জিমন্যাস্টিক্স দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন নাদিয়া কোমানেচি। বুধবার সেই লাভলি (বাঁ দিকে) ও অালির সঙ্গে লক্ষ্মী।

দায়িত্ব: এই দুই খুদে স্কুল পড়ুয়ার জিমন্যাস্টিক্স দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন নাদিয়া কোমানেচি। বুধবার সেই লাভলি (বাঁ দিকে) ও অালির সঙ্গে লক্ষ্মী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:১১
Share: Save:

স্কুলের পোশাকে পিঠে ব্যাগ-সহ রাস্তায় ভল্ট দিয়ে গোটা ভারতের নজর কেড়েছে ওরা দু’জন। যা দেখে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু আশ্বাস দিয়েছেন সাইয়ে এই দু’জনের জিমন্যাস্টিক্সে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে। শুধু দেশেই নয়। নাদিয়া কোমানেচির মতো কিংবদন্তি জিমন্যাস্টও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া এই দুই ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর শূন্যে ডিগবাজি দেখে বলেছেন ‘অনবদ্য’।

খিদিরপুর এলাকার সেই দুই ছাত্রছাত্রী আলি (মহম্মদ ইজ়াজ়ুদ্দিন) ও লাভলির (জেসিকা খান) পাশে এ বার দাঁড়ালেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল। যিনি রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীও। তবে লক্ষ্ণীরতন বলেছেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ হিসেবেই আলি ও লাভলিকে নিখরচায় আমার অ্যাকাডেমিতে জিমন্যাস্টিক্স শেখাতে চাই। আর সেই দায়িত্ব দিয়েছি টুম্পা দেবনাথকে।’’ বুধবার দুপুরে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আলি, লাভলি-সহ তাদের পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, এই দুই খুদে প্রতিভা যতদিন জিমন্যাস্টিক্স শিখতে চায়, তত দিন নিজের অ্যাকাডেমিতে টুম্পার তত্ত্বাবধানে রেখে নিজের খরচে প্রশিক্ষণ দেবেন। যা শুনে আলির মা কায়সরি বেগম ও লাভলির বাবা তাজ খান উচ্ছ্বসিত। লক্ষ্মীরতন আরও বলছেন, ‘‘খেলাধুলো শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই নয়। প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার জন্যই খেলার প্রয়োজন আছে। আলি ও লাভলির ভল্টের ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছিলাম। ওরা খিদিরপুরের বাসিন্দা জানার পরেই দু’জনকেই পরিবার-সহ ডেকে পাঠালাম।’’ যাঁর কাছে আলি ও লাভলি জিমন্যাস্টিক্সের পাঠ নেবেন সেই টুম্পা বলছেন, ‘‘ওরা দু’জনেই খুব প্রতিভাবান। শরীর নমনীয়। গতি আছে। নড়াচড়াও সাবলীল। তা ছাড়া ওরা নাচ জানে। আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স করতে গেলে এটা লাভলির কাজে লাগবে। আশা করছি, জিমন্যাস্টিক্সের আধুনিক প্রশিক্ষণ পেলে ওদের উৎকর্ষ বাড়বে।’’

যাদের নিয়ে এত উদ্যোগ, সেই আলি ও লাভলি মুগ্ধ লক্ষ্মীরতন স্যরের সঙ্গে দেখা করে। দু’জনেই বলে দেয়, ‘‘আগে মাইকেল জ্যাকসনের মতো নাচতে চাইতাম। কেকেআর-এর হয়ে লক্ষ্মীরতন স্যরের খেলা বাড়িতে টিভিতে দেখেছি। আজ স্যরের সঙ্গে কথা বলে দারুণ লাগল। আমাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো গল্প করলেন, উৎসাহ দিলেন স্যর। আমরা এ বার মন দিয়ে টুম্পাদিদির কাছে জিমন্যাস্টিক্স শিখে আরও বড় হতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Laxmi Ratan Shukla Gymnastics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE