নায়ক: নজর কাড়লেন তামিলনাড়ুর বাঁ-হাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ। টুইটার
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে সিদ্ধার্থ মণিমরণ। গত বার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। রবিবার মোতেরায় চার ওভারে ২০ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন তিনি। ২০ ওভারে ১২০-৯ স্কোরে আটকে যায় বরোদা। দু’ওভার বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে চ্যাম্পিয়ন তামিলনাড়ু। দীনেশ কার্তিকরা জেতেন সাত উইকেটে।
এ বার নিলামের আগেই তরুণ বাঁ-হাতি স্পিনারকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। কে জানত, এই তরুণ বাঁ-হাতি স্পিনারই জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে তামিলনাড়ুর নায়ক হয়ে উঠবেন। এ বারের সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচ খেলেন বাঁ-হাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ। আর প্রথম ম্যাচেই দলের হয়ে বড় দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। বিপক্ষ অধিনায়ক কেদার দেবধরের উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি স্মিত পটেল, অভিমন্যুসিংহ রাজপুত ও কার্তিক কাকাড়ের উইকেট নেন সিদ্ধার্থ।
দু’টি রানআউটও হয় বরোদার ইনিংসে। ৩৬ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে অতিরিক্ত চাপে পড়ে যায় বরোদা। সেখান থেকে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন বিষ্ণু সোলাঙ্কি ও অতীত শেঠি। রান যোগ করলেও বড় রান যোগ করতে পারেনি তাঁরা। ৪৯ রান করে বিষ্ণু ফিরে যেতেই সব আশা শেষ হয়ে যায় বরোদার।
জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে তামিলনাড়ু। নারায়ণ জগদীশন এ দিন ১৪ রান করে ফিরে গেলেও হতাশ করেননি হরি নিশান্ত ও বাবা অপরাজিত। ৩৫ রান করে ফিরে যান হরি। ৩৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন বাবা অপরাজিত। ১৬ বলে ২২ রান করে ফিরে যান দীনেশ কার্তিক। সাত বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ খান।
ম্যাচ শেষে তামিলনাড়ু অধিনায়ক কার্তিক বলেছেন, ‘‘এত দিন ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে এই প্রতিযোগিতা জিতেছি। প্রত্যেকেই খুশি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফর্ম্যাট খুবই কঠিন ছিল। সেই জায়গা থেকে এই জয় প্রমাণ করেছে, আমরা কঠোর পরিস্থিতি থেকেও ফিরে আসতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy