মনোজ তিওয়ারি।ফাইল চিত্র।
সে দিন তা হলে ভুল বলেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়! মনোজ তিওয়ারি যে দিন বাংলার নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়ে ইস্তফাপত্র দিতে এসেছিলেন সিএবি ক্লাব হাউসে, তার পরের দিনই তিনি বলেছিলেন, ‘‘মনোজ বাংলার অধিনায়কই থাকছে।’’ শুক্রবার সারা মরসুমের জন্য বাংলার ৩০ জন ক্রিকেটারের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে মনোজকে সারা মরসুমের জন্য অধিনায়কও ঘোষণা করে দেওয়া হল। যা নজিরবিহীন।
অধিনায়ক ঘোষিত হওয়ার পরে মনোজ শুক্রবার বলে দেন, ‘‘আমি নেতৃত্ব ছাড়তে চাইনি। সংবাদমাধ্যমে ভুল খবর প্রচার করা হয়েছিল।’’ সে দিন মনোজের ইস্তফাপত্র নিতে অস্বীকার করা সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়াও অস্বীকার করে বলেন, ‘‘কে বলেছে আপনাদের মনোজ ইস্তফা দিতে চেয়েছিল? এটা সত্যি নয়।’’ অথচ এই দু’জনই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। সৌরভ ক্লাব হাউসে ছিলেন না। যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া তাঁকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও ভাবার পরামর্শ দেন। সৌরভের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা বলাতেও চান তিনি। কিন্তু মনোজ তা বুঝতে চাইছিলেন না। তবে সে দিন চিঠি দিয়ে মনোজ ফিরে এসেছিলেন। পরে সৌরভ তাঁর সঙ্গে বোঝাপড়া করেন বলে খবর পাওয়া যায়। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল শুক্রবার।
প্রাথমিক দল বাছাইয়ের সঙ্গে সাধারণত অধিনায়ক বাছার রীতি নেই সিএবি-তে। কিন্তু এ বার মনোজ দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে চাপ সৃষ্টি করায় আগেভাগেই তাঁকে অধিনায়ক করে দেওয়া হল কি না, জিজ্ঞেস করায় যুগ্মসচিব বলেন, ‘‘সারা মরসুমের পরিকল্পনা নিয়েই প্রাথমিক দল তৈরি করা হয়েছে, তা হলে আর সারা মরসুমের অধিনায়ক বাছতে অসুবিধা কোথায়। সেই কারণেই এটা করা হল।’’ তার পরেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, মনোজের নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার খবর ভুল। সংবাদমাধ্যমের কাঁধে দায় চাপিয়ে তাতে সায় দেন স্বয়ং মনোজও।
তিরিশ জনের দলে ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামি-সহ বাংলার সব ক্রিকেটারকেই রাখা হয়েছে। ঋদ্ধি অস্ত্রোপচারের পরে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনি রয়েছেন প্রাথমিক তালিকায়। তবে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার সন্দেহে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া শাহবাজ আহমেদও বাংলার প্রাথমিক দলে ঢুকে পড়েছেন। পুলিশি রিপোর্টে নাকি দেখা গিয়েছে, তিনি এ রাজ্যেরই ক্রিকেটার। দলে নতুন মুখ সাত্যকী দত্ত ও প্রয়াস রায়বর্মণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy