অ্যাটলেটিকো দে মাদ্রিদ-এর বিরুদ্ধে ২৩ মিটার দূর থেকে তাঁর রামধনুর মতো বাক খাওয়ানো ফ্রি-কিক-এ করা গোল নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব। কিন্তু বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসি তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। বরং বলছেন, ‘‘এই ধরনের গোল আরও করতে চাই বার্সেলোনা ও আর্জেন্তিনার হয়ে।’’
এতদিন বিপক্ষের মাঝমাঠে বা রক্ষণে তাঁর পায়ে বল পড়লেই সমস্যা বাড়ত ডিফেন্ডার-দের। কিন্তু চলতি মরসুমে যে ভাবে ‘ডেড বল’ সিচ্যুয়েশন-এ একের পর এক গোল করে চলেছেন বার্সেলোনার আর্জেন্তাইন ফরোয়ার্ড, তাতে তাঁর বিপক্ষ ডিফেন্ডার-দের সেই চিন্তা আরও বেড়েছে।
গত নয় দিনে লা লিগায় তিন রকম ভাবে ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছেন লিও মেসি। যার মধ্যে রয়েছে, জিরোনা, লাস পালমাস, এবং অ্যাটলেটিকো দে মাদ্রিদ। আর চলতি বছরে এই নিয়ে ফ্রিকিকে পাঁচটি গোল করে নজির গড়লেন মেসি। এর আগে ২০১২ সালে ফ্রিকিক থেকে চারটি গোল করেছিলেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। ফুটবলার জীবনে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে এ পর্যন্ত ফ্রিকিক থেকে ৩৩ টি গোল করেছেন মেসি। এ ছাড়াও দেশের জার্সিতে ফ্রি-কিক থেকে আরও ছয়টি গোল রয়েছে মেসির।
কিন্তু কী ভাবে ফ্রি-কিক থেকে গোল করাটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলেন মেসি, সেই উত্তরও জানিয়েছেন, আর্জেন্তিনা জাতীয় দলের প্রাক্তন ফিটনেস কোচ ফের্নান্দো সিগনোরিনি। তিনিই জানিয়েছেন, মেসি এই ঝকঝকে ফ্রি-কিক রপ্ত করেছেন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার হাত ধরেই। স্পেনের একটি টিভি চ্যানেল-কে সিগনোরিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে মারাদোনা যখন আর্জেন্তিনার জাতীয় দলের কোচ তখন মেসি একদিন অনুশীলনে তিনটি ফ্রি-কিক নষ্ট করে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সে দিন মারাদোনা ডাকেন মেসিকে। জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘‘বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে এটার জন্য হতাশ হলে চলবে?’’ এর পরেই মেসিকে ফ্রি-কিক মারা শিখিয়ে মারাদোনা বলেছিলেন, ‘‘বলের থেকে পা দ্রুত সরিয়ে নেবে না। তা হলে বলও তোমার কথা শুনবে।’’