গ্রানাডার বিরুদ্ধে। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যা করেন, লিওনেল মেসি সেটা আরও ভাল করে করেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মতো এখন ‘৪০০ ক্লাবের’ সদস্য মেসিও। তাও আবার রোনাল্ডোর থেকে কম ম্যাচেই চারশো ছুঁলেন বার্সার মহাতারকা।
লা লিগার লড়াইয়ে গ্রানাডাকে ৬-০ উড়িয়ে এখনও অপরাজিত লুই এনরিকের দল। যেখানে জোড়া গোল করে ইতিহাস ছুঁলেন এলএম টেন। কাম্প ন্যু জুড়ে তখন চলছে চিৎকার- ‘মেসি তুমি ভগবান।’ মেসির প্রথম গোল হওয়ার সময় বার্সা এমনিতেই জিতছিল ৩-০। তবে ঐতিহাসিক এই গোলের সৌজন্যে মেসি আবার প্রমাণ করলেন, এখনও রেকর্ড ভাঙার ক্ষমতা তাঁর মধ্যে আছে। মাত্র সাতাশ বছর বয়সেই মেসি ছুঁলেন ৪০০ গোল। নিজের রেকর্ডের টুপিতে জুড়লেন আর এক পালক।
ম্যাচের শুরুর থেকে শেষ শুধু দাপট ছিল মেসি-রাকিটিচদেরই। প্রতি মিনিটেই আক্রমণের ঝড় তুলছিল বার্সা। মেসির সেলিব্রেশনের দিনেও লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার আখ্যা নিজের দখলেই রাখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ভিয়ারিয়ালকে ২-০ হারাল রিয়াল। আবার গোল করলেন সিআর সেভেন। গত তিন ম্যাচে যাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়াল আট। চলতি মরসুমে দশ।
হ্যাটট্রিকের নায়ক।
অন্য দিকে ইপিএলে লুই ফান গলের ‘গোপন বৈঠক’ কি তাতিয়ে দিল দলকে? প্রিমিয়ার লিগে আবার জয়ের স্বাদ পেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। গত রবিবার লেস্টার সিটির হাতে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের পরে ম্যান ইউ কিছুটা উজ্জ্বল। শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামকে ২-১ হারাল লুই ফান গলের দল। ম্যাচে নাটকের অভাব ছিল না। প্রথমার্ধের শুরুতে ওয়েন রুনির গোলে ১-০ এগোয় ম্যান ইউ। কিছুক্ষণ বাদেই ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করেন রবিন ফান পার্সি। তবে বিরতির আগেই সাখো গোল করে ২-১ করেন। গোল করলেও বিরতির পরে লাল কার্ড দেখতে হয় রুনিকে। শুধু ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড নয়। তাঁদের প্রতিবেশীরাও জয় পেল এ দিন। হাল সিটিকে ৪-২ হারাল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। আবার গোল করলেন ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। পাশাপাশি দিয়েগো কোস্তার দাপটে চেলসি ৩-০ হারাল অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানে তারাই। অন্য ম্যাচে লিভারপুল বনাম এভার্টনের ডার্বি ১-১ ড্র-এ শেষ হল। গোল করেন জেরার এবং জাগিয়েলকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy