ছবি: এএফপি।
চিলি ৭ (এডসন-২, ভার্গেস-৪, সাঞ্চেজ) মেক্সিকো ০
দুরন্ত লা রোজা। অসাধারণ স্যাঞ্চেজ। ধ্বংসাত্মক ভার্গেস। শুরু থেকে শেষ সাইক্লোন আছড়ে পড়ল মেক্সিকোর গোলে। ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের আগুন তখন ভার্গেসদের চোখে মুখে। যাতে ছারখাড় হয়ে গেল মেক্সিকো। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তাক্লারায় লেভিস স্টেডিয়ামে চিলির সাত গোলের ঝড় থামল ৮৭ মিনিটে। যার ফল প্রতিপক্ষ সেমিফাইনালিস্টকে চাপে রেখে শেষ চারে জায়গা করে নিল চিলি।
শুরুটা করেছিলেন এডসল রাউল পুচ কোর্তেসই। শেষ গোলটাও এল তাঁরই পা থেকে। মাঝের সময়টা শুধুই ভার্গেসের। হ্যাটট্রিক সহ চার গোল। মাঝে নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেজ। ১৬ মিনিটে এডসনের প্রথম শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ওচুয়া। কিন্তু ফিরতি বলে সেই বল গোলে পাঠালেন এডসন। ৪৪ মিনিট থেকে শুরু ভার্গেস তান্ডব। গোলের মুখেই বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন স্যাঞ্চেজ। যেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভার্গেস। প্রথমার্ধ ২-০ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে চিলির হয়ে গোলের মুখ খুলে দেন স্যাঞ্চেজই। ততক্ষণে চিলির পর পর আক্রমণে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থা মেক্সিকোর।
আরও পড়ুন: রক্ত আর আগুনে ঢাকা পড়ছে শিল্প, শাস্তির মুখে ক্রোয়েশিয়া
৪৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করে ফেলেন ভার্গেস। এই গোলের পিছনেও ভূমিকা রেখে গেলেন স্যাঞ্চেজ। মেক্সিকো যেটুকু সুযোগ পেল তাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। বরং সেরকম আক্রমণ থেকেই কাউন্টার অ্যাটাকে হ্যাটট্রিক গোলটি করে ফেললেন ভার্গেস। ৫৭ মিনিটে ছ’গজ বক্সের মধ্যেই ভার্গেসকে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন স্যাঞ্চেজ। ৭৪ মিনিটে নিজের চতুর্থ গোলটিও সেরে ফেললেন ভার্গেস। তার সঙ্গে যা সুযোগ মিস হল তাঁর অর্ধেক গোল হলেও এই ব্যবধান বিশ্ব ফুটবলে রেকর্ড তৈরি করতে পারত। ৮৭ মিনিটে মেক্সিকোর কফিনে শেষ পেড়েকটি পুঁতে দিয়ে গেলেন এডসন রাউল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy